৩ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষকের বাড়ি ভেঙে দিল প্রশাসন
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া বাস চালকের বাড়ি ভাঙল স্থানীয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার ভোপালের শাহপুরা এলাকায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙা হয়।
তবে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাড়িটি অবৈধভাবে তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই কারণেই এই বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক মানুষ হাতুড়ি নিয়ে গিয়ে শাহপুরা এলাকার একটি ছোট গলিতে অভিযুক্তের বাড়িটি ভেঙে ফেলে।
গত বৃহস্পতিবার স্কুলবাসের মধ্যে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বাসের চালকের বিরুদ্ধে। ঘটনার সময় এক জন নারী রক্ষীও বাসে উপস্থিত ছিলেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বাস চালক এবং নারী রক্ষী, দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ বলছে, শিশুটির বাবা-মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক বাসচালকের বয়স ৩২ বছর। তিনি দুই কন্যাসন্তানের বাবা। মাস দুয়েক আগে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের বাসচালকের কাজ পান।
আরও পড়ুনঃ পরীক্ষা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী সাঁতরে পার হলো তিন ভাই-বোন
অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবারই শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে যৌন হেনস্থার প্রমাণ মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটির মায়ের বয়ান অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার স্কুল থেকে বাসে করে বাড়ি ফেরার পর মেয়েকে দেখে অবাক হন তিনি। কারণ, যে পোশাক পরে মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল, সেটা পরে ফেরেনি। স্কুল ব্যাগে এক সেট জামাকাপড় থাকত তার। সেটা পরে মেয়ে ফিরেছে।
জিজ্ঞাসা করায় মেয়ে কোনো উত্তর দেয়নি মাকে। এর পরই মায়ের সন্দেহ হয়। তিনি স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং শিক্ষকাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারা জানান, শিশুটি ক্লাসে পোশাক বদল করেনি। এর পর মেয়েকে জিজ্ঞাসা করে পুরো বিষয়টি বুঝতে পারেন নাবালিকার মা। তখনই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হন।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক অভিযুক্তের বাড়ি ‘অবৈধ’ নির্মাণ বলে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
সূত্র: এনডিটিভি।