বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশুদের সুরক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বাল্যবিবাহ রোধ এবং শিশু-কিশোরদের যথাযথ বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করা আমাদের সবার দায়িত্ব। চারাগাছকে যেমন আমরা যত্ন করে বড় করি, তেমনি আমাদের শিশু-কিশোরদের যথাযথ পরিবেশে বেড়ে ওঠার সুযোগ নিশ্চিত করতে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আজকের দিবসের প্রতিপাদ্যে তারুণ্যের ক্ষমতায়নের কথা বলা হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়, ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জন। আর্থিকভাবে সক্ষম হলে ক্ষমতায়নের পথ সহজ হয়। একটি ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের অনেক তরুণ জীবন উৎসর্গ করেছেন। অনেকে অঙ্গহানি ও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন।
একটি সম্ভাবনাময়, ন্যায্য বিশ্ব গড়তে হলে আমাদের সমতা অর্জন করতে হবে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যত বাধা আছে, তা আমাদের ঝেড়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি নীতিমালায় বড় পরিবর্তন আসছে, পরীক্ষা কবে?
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা পছন্দের পরিবার গড়ার জন্য তারুণ্যের ক্ষমতায়নের কথা বলছি। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষা, সহায়ক পরিবেশ এবং সচেতনতা। তরুণদের উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, রাষ্ট্র বিনির্মাণে তরুণ সমাজের ভূমিকা কী হতে পারে, তা জাতি দেখেছে। তরুণরাই জাতির ভবিষ্যৎ। যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং এবং রোবোটিক্সের উন্নতি হচ্ছে, তার প্রভাব পড়বে জীবনের নানা ক্ষেত্রে—কর্মসংস্থানেও। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় পর্যায়ে ১০টি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কর্মী ও প্রতিষ্ঠান প্রতিনিধিদের হাতে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো. সারোয়ার বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. সাইদুর রহমান, সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ; সম্মানিত অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর; অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন, মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর এবং Catherine Breen Kamkong, প্রতিনিধি, UNFPA বাংলাদেশ।
এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, অধিদপ্তরের পরিচালক, লাইন ডিরেক্টর, উপপরিচালকবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথি, ইউএনএফপিএ ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. আশরাফী আহমদ, এনডিসি, মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জোবায়দা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (জনসংখ্যা, পরিবার কল্যাণ ও আইন অনুবিভাগ), স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।