কলেজের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের চিন্তা নেই, স্বাস্থ্যবিধিতে নজর মাউশির
ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস। সবশেষ ২৬ জন আক্রান্ত ও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর খুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে রবিবার (১৫ জুন) থেকে শুরু হয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান। করোনা সংক্রমণ ও ডেঙ্গু প্রকোপ বাড়ায় কলেজগুলোকে একটি নির্দেশনা দেবে বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সহকারী পরিচালক মো. ইমরান আলী।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মাউশির মহাপরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আজাদ খান একটি সিদ্ধান্তমূলক পরামর্শ দিয়েছেন। করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে উনি বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এ সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতায় একটি নির্দেশনা জারি করা হতে পারে। তবে ক্লাস চালু থাকবে, এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: বাড়ছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা, স্কুল খোলা নিয়ে যা জানাল মাউশি
জানা যায়, করোনাভাইরাস রোধে রবিবার (১৫ জুন) একটি নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বলা হয়, বারবার প্রয়োজনমতো সাবান দিয়ে হাত ধোয়া (অন্তত: ২০ সেকেন্ড); জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক পরা; আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখা; অপরিস্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা; হাঁচি-কাশির সময় বাহু/টিস্যু/কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখা।
এ ছাড়াও ২৪ জুন থেকে শুরু হবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস, মাদ্রাসার ক্লাস শুরু হবে ২৬ জুন থেকে। ইতোমধ্যে রবিবার (১৫ জুন) থেকে খুলেছে সারাদেশের সরকারি-বেসরকারি কলেজগুলো।
এদিকে সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন করে আক্রান্ত ২৬ জনসহ এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫০৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ৪ জন সুস্থ হয়েছেন। ফলে এ সংখ্যা ২০ লাখ ১৯ হাজার ৪১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদিকে মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৫ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গত ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু'দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।