২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:৫৮

প্রতিবন্ধী যুবককে পিটিয়ে হত্যা, শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ

এলাকাবাসীর মানববন্ধন  © টিডিসি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের কাদিরপুর ইউনিয়নের মুন্সী বাড়ির বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবক মুনসুর আহমেদ বাহারকে (৩৮) ফেনীর মোটবীতে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।

রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত বাহারের বড় ভাই জাফর আহমেদ ও ছোট ভাই মো. সাদেক। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও কাদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী আবুল বাশার, কাদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন রিপন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাদিরপুর যুব বিভাগের সভাপতি গোলাম আযম রাফি, কাদিরপুর টেকনিক্যাল স্কুলের অধ্যক্ষ ও শিক্ষানুরাগী শাহাদাত হোসেন ও ঘাটলা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য মো. ঈসমাঈল হোসেন সুমনসহ অনেকে।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার মনসুর আহমেদ বাহার (৩৮) একজন নিরীহ ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী যুবক ছিলেন। তিনি ফেনীর কাশিমপুরের স্টার লাইন নামের একটি প্রতিষ্ঠানে নামমাত্র বেতনে চাকরি করতেন। গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে তাকে চোর অ্যাখা দিয়ে ফেনীর মোটবী ইউনিয়নের স্থানীয় কিছু লোক নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেন।

আরও পড়ুন: ৫০তম বিসিএস পরীক্ষার শূন্য পদের জন্য অধিযাচন প্রক্রিয়া শুরু, বিজ্ঞপ্তি নভেম্বরে

স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তবে এ ঘটনায় জড়িত এজাহারনামীয় প্রধান আসামি কবির আহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হলেও অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

এ সময় বক্তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। তারা বলেন, একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও নিরীহ যুবককে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করা অত্যন্ত অমানবিক। এ ঘটনায় তারা প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বাহার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।