০৩ জুন ২০২৫, ১১:৫৬

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে যশোরে দা, বঁটি, চাপাতি, ছুরি বিক্রির ধুম

বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি  © টিডিসি

তিন দিন পরই ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে যশোর শহরে এখন দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি  বিক্রির ধুম পড়েছে। সে জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীরা। প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীরা আগুনে পোড়ানো  লোহার তৈরি মালামাল আমদানি করছেন জেলার চৌগাছা, মণিরামপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এসব মালামাল বিক্রি হচ্ছে। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন এসব মালামালের চাহিদা তুঙ্গে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, যশোরের বড়বাজারে লোহাপট্টিতে কোরবানির পশু জবাই করার যাবতীয় মালামাল বিক্রি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন হার্ডওয়্যারের ব্যবসায়ীরা। শহরে কোথায়ও কামারের দোকান নেই। জেলার চৌগাছা, মণিরামপুর উপজেলাসহ সৈয়দপুর, বগুড়া, বরিশাল, ঢাকা, মাদারীপুর জেলা পশু কোরবানির মালামাল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি ও চাকু বিক্রি করছেন। কোরবানি উপলক্ষে এখন এসবের ব্যবসা জমে উঠেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হার্ডওয়্যারের দোকানগুলোয় মালামাল বিক্রি হচ্ছে।

হোসেন আলী গাজীর বাড়ি শহরের খালধার রোড়ে। তিনি পেশায় কসাই। হোসেন আলী বলেন, তিনি তিনটি গরু কোরবানির দায়িত্ব নিয়েছেন। অগ্রিম টাকাও নিয়েছেন। সে জন্য নতুন মালামাল ক্রয় করতে লোহাপট্টিতে এসেছেন। চাপাতি, দা, বঁটি, ছুরিসহ অন্যান্য মালামাল মিলে তিন হাজার টাকার জিনিসপত্র ক্রয় করেছেন তিনি।

কামরুজ্জামান সরদারের বাড়ি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোপ বিএড কলেজের পাশে। তিনি একটি ছাগল কোরবানি করবেন। নিজে সব কাজ করতে পারেন। তিনি চাপাতি ও ছুরি কিনেছেন। বাকি সব মালামাল তার বাড়ি আছে।

আরও পড়ুন: ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কা, একই পরিবারের ৩ জন নিহত

যশোরের বড় বাজারের লোহাপট্টির সরদার হার্ডওয়্যারের স্বত্বাধিকারী মাসুদ রানা বলেন,  ‘তিনি লোহার তৈরি দা, বঁটি, চাপাতি, ছুরি বিক্রি করছেন। মাত্রাভেদে দা ১৫০ থেকে ৪০০, বঁটি ১০০ থেকে ৮০০, ছুরি ৪০ থেকে ৮০০, চাকু ৫০ থেকে ১৫০, চাপাতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করছেন। তিনি এসব মালামাল যশোরের চৌগাছা, মণিরামপুর উপজেলাসহ মাদারীপুর, বরিশাল ও ঢাকা থেকে আমদানি করেছেন। কোরবানি উপলক্ষে মালামালগুলো বেশি বিক্রি হয়। অন্য সময়ে তেমন  বিক্রি হয় না। তবে এবার লোহার দাম বেড়ে যাওয়ায় দা, চাকু, ছুরির দাম কিছুটা বেশি। তারপরও তুলনামূলক ভালো বিক্রি হচ্ছে। 

মোল্লা হার্ডওয়ারের স্বত্বাধিকারী হুমায়ুন কবির বলেন, কোরবানির পশু জবাই করার জন্য তিনি ছুরি, চাপাতি, স্ট্রিল ছুরি, দা, বটি ইত্যাদি বিক্রি করছেন। সৈয়দপুর, বগুড়া ও ঢাকা থেকে তিনি এসব মালামাল আমদানি করেছেন। ২০ টাকা থেকে শুরু ১ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে তিনি এসব মালামাল বিক্রি করছেন। কোরবানি উপলক্ষে তার মালামাল অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। অন্য সময়ে এসব মালামাল তেমন একটা চাহিদা থাকে না।