ছুটিতে বাড়ি ফেরা হলো না—ট্রলারডুবিতে প্রাণ গেল গিয়াস উদ্দিনের
ছুটিতে পরিবারে সময় কাটাতে বাড়ি ফিরছিলেন গিয়াস উদ্দিন (৫৩)। কিন্তু পথিমধ্যেই মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি। নোয়াখালীর ভাসানচরে কর্মরত এই সরকারি কর্মকর্তা আর জীবিত ফিরতে পারলেন না প্রিয়জনদের কাছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুর ৩টার দিকে ভাসানচর থেকে নোয়াখালীর হাতিয়ার করিমবাজার ঘাটে যাওয়ার পথে যাত্রীবাহী একটি ট্রলার ডুবচরে পৌঁছে হঠাৎ ফেটে গিয়ে উল্টে যায়। ট্রলারটিতে থাকা ৩৯ জন যাত্রীর মধ্যে ৩৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও গিয়াস উদ্দিনসহ কয়েকজন নিখোঁজ হন। পরবর্তীতে গিয়াস উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত গিয়াস উদ্দিন ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব দৌলতপুর এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের মেঝো ছেলে। তিনি ডাক বিভাগের একজন কর্মকর্তা হিসেবে নোয়াখালীর ভাসানচরে সাব পোস্ট মাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরিজীবনে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর তিনি ফেনীর শর্শদি পোস্ট অফিসে কাজ করেছেন। এক বছর আগে বদলি হয়ে যান ভাসানচরে।
আরও পড়ুন: গরু পার করাতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে গেলেন কৃষক
নিহতের ছেলে জিয়া উদ্দিন ভূঞা দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমার বাবা সহজ-সরল ও সৎ মানুষ ছিলেন। পরিবারে মা, আমরা তিন ভাইবোন—সবাই বাবার ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। ছুটিতে বাড়ি আসার পথে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন, এটা কখনো ভাবিনি। বাবার এমন মৃত্যুতে আমরা বাকরুদ্ধ।’
ফেনীতে কর্মরত ডাক বিভাগের কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় ছিল। মানুষ হিসেবে অত্যন্ত ভালো ও দায়িত্বশীল ছিলেন। কয়েক বছর পরেই অবসরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এভাবে চলে যাওয়া আমাদের সবার জন্যই বেদনাদায়ক।’
প্রসঙ্গত, মেঘনা নদীর ডুবচরে ট্রলারডুবির ঘটনায় এখনো অনেকে আতঙ্কে রয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় নৌযান চলাচল ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয়রা।