১২ মে ২০২৫, ০৭:৩৭

কাপ্তাই হ্রদে মাছের পোনা অবমুক্ত

লেকে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হচ্ছে  © টিডিসি

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহৎ ৭২৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের কাপ্তাই হ্রদে কার্প-জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে ভিজিএফ কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। আজ সোববার (১২) সকালে রাঙামাটির মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের মৎস্য অবতরণ ঘাটে মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। 

এ বছর কাপ্তাই হ্রদে ৫৬ মেট্রিক টন মাছের পোনা অবমুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে প্রায় ২৭ হাজার জেলেকে ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করা হবে। মাছ ধরা বন্ধের তিন মাস একটি কার্ডের বিপরীতে ২০ কেজি করে চাল পাবে জেলেরা।

মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, মাছের ধরা বন্ধের সময়  যাতে কেউ মাছ ধরতে না পারে, সে জন্য নজরদারি বকড়ানো হবে। কিছু অসাধু জেলে ও ব্যবসায়ীরা নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করা হয় সেটি বন্ধে জোর দেয়া হবে। বন্ধের সময় ভিজিএফের মাধ্যমে ২০ কেজি চাল থেকে বাড়িয়ে ৪০ কেজি করা হবে। 

প্রতিবছর হ্রদের কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও প্রকৃতিকভাবে বৃদ্ধির লক্ষে ১ মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময়ে হ্রদ থেকে মাছ আহরণ,  মজুদকরণ, বাজারজাতকরণ ও পরিবহন বন্ধ থাকে।

আর পড়ুন: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অজ্ঞাত ৮ মরদেহের পরিচয় জানতে চায় সরকার

মাছের পোনা অবমুক্ত ও জেলেদের মধ্যে বিতরণের আগে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ, মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরুধা ভদ্র, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার চাকমা, সচিব তোফাজ্জল হোসেন,  মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক কমান্ডার ফয়েজ আল করিম।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর কার্প-জাতীয় মাছের প্রকৃতিক প্রজনন, বংশ বৃদ্ধির জন্য কাপ্তাই হ্রদে ৩ মাস মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকে। এ বছর কাপ্তাই হ্রদ হতে সারে ৮ হাজার মেট্রিক টন  মৎস্য আহরণের বিপরীতে প্রায় ১৮ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।