ভোলায় কৃষি কর্মকর্তার অনিয়মের প্রতিবাদে গ্রামবাসীর মানববন্ধন
- ভোলা প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ PM , আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫১ PM

ভোলার চরফ্যাশনে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে আমিনাবাদ ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. সামছুল আলমের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারের শতাধিক নারী-পুরুষ কৃষি সামছুল আলমের বিচারের দাবি ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানবন্ধন করেন।
জানা যায়, আমিনাবাদ ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি চাকরির পাশাপাশি ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবাসন বাজারে কীটনাশকের ব্যবসা করেন। তিনি একজন কৃষি উপসহকারী হওয়ার সুবাধে পার্শ্ববর্তী ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারে একটি সার ও কীটনাশকের দোকান দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের অফিস থেকে নানা সুবিধা দেওয়ার নামে ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি করে আসছেন। ওই বাজারের তার পার্শ্ববর্তী অপর ব্যবসায়ী বেল্লালসহ স্থানীয় কৃষকরা তার অনৈতিকভাবে বেজাল কীটনাশক ও নকল সার বিক্রির প্রতিবাদ জানালে তিনি ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ অপপ্রচার শুরু করেন। কৃষি উপসহকারীর অনিয়ম ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন।
আরও পড়ুন: ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা করলেন আদালত
ব্যবসায়ী বেল্লাল হোসেন জানান, তিনি ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারে কীটনাশকের ব্যবসা করেন। তার পাশাপাশি ওমরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষি উপসহকারী মো. সামছুল আলম ওই বাজারে গিয়ে একটি কীটনাশকের দোকান দেন। তিনি একজন কৃষি উপসহকারী হওয়ার সুযোগে তিনি স্থানীয় কৃষকদের জিম্মি করে ভেজাল সার ও নকল কীটনাশক দিয়ে কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। তার এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ কৃষি উপসহকারী সামছুল আলম নিজের প্রভাব খটিয়ে তাকে হেনস্তা করার জন্য গ্রামে তার বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার শুরু করেন। তার প্রতিকার চান তিনি।
স্থানীয় হালিমাবাদ গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আলী জানান, ওমপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কৃষি উপসহকারী সামছুল আলম ওসমানগঞ্জ ইউনিয়নের আবাসন বাজারে গিয়ে একটি দোকান দেন। তিনি কৃষি উপসহকরী হয়ে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার ওই দোকানে ভেজাল সার ও নকল কীটনাশক বিক্রি করে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করছেন। তিনি কৃষকদের পরার্মশ না দিয়ে তার দোকানে বসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার অনিয়মের প্রতিবাদ জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. বেলাল্ল হোসেন। প্রতিবাদ করায় কৃষি উপসহকারী ওই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি ও দখলদারির অভিযোগে জবি ছাত্রদলের তিন নেতাকে শোকজ
ওসমানগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা কৃষক মো. ফারুক বলেন, ‘আমি ৫ একর জমিতে কৃষি কাজ করছি। আমাদের এলাকাতে কর্মরত কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা সামছুল আলম মাঠপর্যায়ে আমাদের কাছে গিয়ে সে কোন ধরনের পরামর্শ দেন না। সে ওসমানগঞ্জ আবাসন বাজারে একটি কীটনাশকের দোকান খুলে বসেছেন। তার দোকান থেকে কীটনাশক ও সার কিনতে কৃষকদের বাধ্য করছেন তিনি। এসবের প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বেল্লালকে বিভিন্ন অপবাদে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান কৃষি উপসহকারী সামছুল আলম। আমরা তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদে এলকাবাসী ও কৃষকরা সমবেত হয়েছি।’
এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকতা সামছুল আলম বলেন, ‘এই ব্যবসাটা আমার বাবার ছিল। বর্তমানে আমার চাচা ব্যবসাটি পরিচালনা করছেন। আমি মাঝেমধ্যে দোকানে বসি। আমাকে ওই এলাকায় বেল্লাল হোসেন মারধর করেছেন।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাজমুল হুদা জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।