১৭ মার্চ ২০২৫, ১৫:২৬

যশোরে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ

যশোরে সিভিল এভিয়েশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি  © টিডিসি

বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের প্রস্তাব বাতিল দাবিতে যশোরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচকের) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় যশোর বিমানবন্দরে সামনে তারা এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তারা এভসেক বিভাগকে অকার্যকর করার সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করা বেবিচকের অর্গানোগ্রাম পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন, প্রতিষ্ঠানটিকে কাঠামোগতভাবে শক্তিশালীকরণের দাবি জানান । একই সঙ্গে বেবিচকের অধীন বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বন্ধ, ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার অ্যাক্টের আওতায় সব জনবল প্রত্যাহার, ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: রাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ডাউনলোড আপাতত স্থগিত

প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা আরও বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের আওতাধীন ‘এভিয়েশন সিকিউরিটি’ বিভাগ অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সব বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করে আসছে। এ বিভাগ থাকার পরও ‌বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সিকিউরিটি ফোর্স নামের নতুন একটি বিভাগ গঠনের প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে। বেবিচকের পর্ষদ সভায় আলোচনার জন্য এ প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক ও গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন বক্তারা।

কর্মসূচিতে বিমানবন্দরের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এ সময় তারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন। এই দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, এভিয়েশন সিকিউরিটি বিভাগকে অকার্যকর করার সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে। বেবিচকের অর্গানোগ্রাম পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটির কাঠামোগত শক্তিশালীকরণ নিশ্চিত হয়। বেবিচকের অধীন বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। ২০১৬ সালে চালু করা ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় জনবল মোতায়েন কার্যক্রম থেকে খুব দ্রুত বেরিয়ে আসার সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।

আরও পড়ুন: কৃষির ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আসনপ্রতি যত আবেদন পড়ল

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের স্বনির্ভরতা ও টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ছাড়া ১০ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে হবে, বেবিচকের প্রকৃত প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।