৩৫ প্রত্যাশীদের সংবাদ সম্মেলন-জনসমাবেশ কাল

চাকরপ্রিত্যাশী যুব প্রজন্মরে আন্দোলন
চাকরপ্রিত্যাশী যুব প্রজন্মরে আন্দোলন  © ফাইল ছবি

চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আগামীকাল রবিবার সংবাদ সম্মেলন ও জনসমাবেশের ডাক দিয়েছে চাকরপ্রিত্যাশীরা। সকাল ১০ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে সংবাদ সম্মেলন এবং বেলা ৩টায় শাহবাগে জনসমাবেশ করবে তারা।

শনিবার (৬ আগস্ট) চাকরপ্রিত্যাশী যুব প্রজন্মরে পক্ষে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, ‘‘দেশের উচ্চশিক্ষিত যুব সমাজ গত এক যুগ ধরে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের গঠনমূলক ও যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আসছে।  কোভিড-১৯ এর আঘাতে সকল বয়সী শিক্ষার্থীরা ২ বছরের অধিক সময় হারানোর পর বর্তমান যুব প্রজন্ম সাংবিধানিক অধিকার ‘সুযোগের সমতা’ বঞ্চিত হয়ে আবারও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীতকরণের দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট।’’

তারা বলেন, ‘‘২০১৮ সালের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির অঙ্গীকার উল্লেখ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ৪ বছর পেরিয়ে আর একটি নির্বাচন আসন্ন; এমন সময়েও উক্ত ওয়াদা বাস্তবায়ন করেনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করা এই দলটি। 

আরও পড়ুন: মেডিকেলে পড়তে চান গুচ্ছে প্রথম হওয়া সুমাইয়া

২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন কয়েক মাসের মধ্যে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করা হবে। পরে মিডিয়াতে একই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী। করোনা ২ বছরের অধিক সময় কেড়ে নেওয়ার পর বয়সসীমা হারিয়ে ফেলা চাকরীপ্রত্যাশী উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষাধিক। নিত্তনৈমিত্তিক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে সারা দেশজুড়ে। জাতীয় সংসদে এখন অবধি ৭১ বার বয়সসীমা বৃদ্ধির দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে।’’

তারা আরও জানান, ‘‘দেশে সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়য়সীমা ২৭ থেকে ৩০ বছরে উন্নীত হয় এখন থেকে ৩১ বছর আগে ১৯৯১ সালে, সেটাও অন্য সরকারের আমলে। তখন গড় আয়ু ছিলো ৫৭ বছর আর এখন ৭৩। বিশ্বের ১৬২টি দেশে আমাদের চেয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা অধিক। 

বাংলাদেশের জাতীয় যুবনীতিতে যুবকের সংজ্ঞায় ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়স বলা হচ্ছে আবার এখানে ৩০ বছরে আটকে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ। শুধুমাত্র বিসিএস কোয়ালিফাই করার বয়সের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বয়সসীমার ৩১ বছরের অচলায়তন চলমান। আবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চেয়ে নূন্যতম তিনটি বিসিএস পরীক্ষায় কম আবেদন করতে পারেন। সবকিছু বিবেচনায় চাকরিতে আবেদনের বয়সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি।’’ 


সর্বশেষ সংবাদ