২১ মার্চ ২০২২, ১৪:৫৫

প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে নেওয়ার দাবি রাবি শিক্ষার্থীদের

চাকরিপ্রার্থীদের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২১ মার্চ) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, চলতি বছর প্রাথমিকে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাকে ঘিরে আমরা মনে স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা আমাদের সেই স্বপ্নকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেয়ার পথে। কারণ, আজ বিভিন্ন গণমাধ্যম মারফত আমরা জানতে পারলাম, প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী এপ্রিল মাসে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। এই খবর জানার পর আমরা শিক্ষিত বেকাররা দিশেহারা হওয়ার পথে। অথচ এই নিয়োগ পরীক্ষাটি কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় নেয়া হবে বলে গত সপ্তাহে দেশের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই খবরের এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই গতকাল কর্তৃপক্ষ জেলা পর্যায়ে পরীক্ষাটি নেয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই বিষয়ে আজ তারা আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন বলে আমরা খবরে জানতে পারলাম। জেলা পর্যায়ে নিয়োগ পরীক্ষাটি নেওয়ার খবর আমাদের চরমভাবে হতাশ করেছে।

আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা, দুর্নীতির শঙ্কা চাকরিপ্রার্থীদের

জেলা পর্যায়ে পরীক্ষায় বিভিন্ন অনিয়মের শঙ্কা প্রকাশ করে তারা জানান, জেলা পর্যায়ে নেযা পরীক্ষার অতীত রেকর্ড ভালো নয়। বিগত সময়গুলোতে জেলায় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস, প্রক্সিসহ নানা অনিয়ম ঘটেছে। যা আমরা গণমাধ্যমে দেখেছি। আমরা আশঙ্কা করছি, জেলা পর্যায়ে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে সেখানে ভয়াবহ দুর্নীতি হতে পারে। এর প্রমাণ আমরা বিগত বছরগুলোতে এবং চলতি বছর একাধিক নিয়োগ পরীক্ষাতে পেয়েছি।

সম্মেলনে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশী খাইরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষাটি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি তা জেলাগুলোতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে আমরা ভয়াবহ দুর্নীতির আশংকা করছি।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নাফিসা আলম, সমাজকর্ম বিভাগের সুবর্ণা রায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কামাল হোসেন, মর্তুজা নূর প্রমুখ।