চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩২ করার দাবিতে দুই মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৩০ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ০৩:৩০ PM
করোনাকালীন প্রণোদনা হিসেবে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবিতে শিক্ষামন্ত্রী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে এই স্মারকলিপি জমা দেন তারা। স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেছেন, মোহাম্মদ তানভীর হোসাইন, লাবিব হাসান ও তাসলিমা লিমা।
স্মারকলিপিতে তারা বলেছেন, বিভিন্ন সেক্টরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত করোনাকালীন প্রণোদনা দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবা অন্য সকল সেক্টরের মানুষের মতো চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মকেও বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।
চাকরি প্রত্যাশীরা বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণার সাথে বন্ধ হয়ে স্থগিত হয়ে যায় সকল প্রকার সরকারি চাকরির সার্কুলার ও একই সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া। এক বছরের অধিক সময়কাল জুড়ে হাতেগোণা কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। ফলে দেখা গেছে এই প্রজন্মের অনেকেই তাদের জীবনের একটি বছর হারিয়ে ফেলেছেন এবং এর স্থায়িত্ব আরও দীর্ঘ হতে যাচ্ছে।
তারা আরও বলেন, যেহেতু দেশে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলমান। করোনার প্রভাবে দেরিতে কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি আসার পরে এমন চিত্র দেখা গেছে অনেকেই ১০/১৫ দিন, এক বা দুই মাসের জন্য ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসার পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারেনি।
আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, করোনাকালীন সময়ে অসংখ্য মানুষের সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়স শেষ হয়ে গেছে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করলে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সরকারী চাকরিতে প্রবেশ বা আবেদনের বয়সসীমা ৩০ হলেও সহকারী বিচারকদের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২, আবার বিসিএস স্বাস্থ্য তথা সরকারি ডাক্তারদের ক্ষেত্রেও ৩২। অন্যদিকে বিভিন্ন কোটার ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ৩২ বছর পরিলক্ষিত হয়। বিভাগীয় প্রার্থীরা ৩৫ বছর অবধি সুযোগপ্রাপ্ত হন। করোনার এই বিভীষিকাময় সময়ে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা কিন্তু তাদের ৩০ বছরও পাচ্ছেন না। কারণ কোভিড-১৯ ইতোমধ্যেই সবার জীবনের প্রায় দেড় বছর কেড়ে নিয়েছে।
তারা আরও বলেন, দেশে বিভিন্ন সময়ে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সময়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বৃদ্ধি করা হয়েছে। যখন গড় আয়ু ছিল ৫৫ বছর তখন প্রবেশের বয়স ছিল ২৭, অবসরের বয়স ছিল ৫৭। ১৯৯১ সালে সেশনজটের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রবেশের বয়স করা হলো ৩০ বছর। ২০১১ সালে এসে অবসরের বয়স বেড়ে হয় ৫৯ আর মুক্তিযুদ্ধাদের হয় ৬০। যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭। অবসরের এই ২-৩ বছর বাড়ার কারণে এই সময় সার্কুলার হয়নি। ১৯৯১ থেকে ২০২১ এই ২০ বছরে গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭৩। কিন্তু চাকরিতে প্রবেশের বয়স বৃদ্ধি করা হয়নি। তাই করোনাকালীন ‘প্রণোদনা স্বরুপ’ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২ বছর করার দাবি জানাচ্ছি।