দক্ষতাভিত্তিক স্নাতক তৈরি করতে পারছে না দেশীয় শিক্ষা, বিদেশিদের দাপট
দেশের সরকারি-বেসরকারি দেড় শতাধিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে বছরে লাখো গ্র্যাজুয়েট আসছেন চাকরির বাজারে। কিন্তু দেশে শিল্প ও ব্যবসা খাতসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানে চাকরি পেতে যে ধরনের দক্ষতা বা শিক্ষা প্রয়োজন, তা তারা ভালোভাবে রপ্ত করতে পারছেন না। ফলে এসব জায়গার বড় একটি অংশ বিদেশি কর্মীদের দিয়ে পূরণ করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে দেশের টাকা চলে যাচ্ছে বাইরে, বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনাও ঘটছে। দেশের বাজার ব্যবস্থা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সিলেবাস বাস্তবসম্মত না হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ কর্মী তৈরি করা যাচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে দক্ষ জনবলের অভাবের সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশ ৫ থেকে ৬ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকা, চীন-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কর্মীরাও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞদের মত, শিক্ষা ও দক্ষতার সমন্বয়ে দেশে দক্ষ কর্মী সৃষ্টি করতে হবে। অন্যথায় স্বনির্ভরতা অর্জন করতে পারবে না বাংলাদেশ।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অন্তত ৩৩টি সেক্টরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন বিদেশি কর্মীরা। তাদের মধ্যে যেমন বৈধ আছেন, তেমনি অবৈধ কর্মীদের সংখ্যাও কম নয়। প্রতিবছর তারা বেতন-ভাতাবাবদ নিয়ে যাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। সংশ্লিষ্টদের মতে, দক্ষ ব্যবস্থাপক ও বাজার উপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থার অভাবেই প্রতিবছর বাড়ছে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা।
অনুমতি ছাড়াও বাংলাদেশে কাজ করছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। বাংলাদেশে ভ্রমণ সংক্রান্ত ভিসায় এসে কাজ করারও অভিযোগ রয়েছে বিদেশিদের বিরুদ্ধে। এর ফলে বাংলাদেশে একটি বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ঘটছে তাদের মাধ্যমে।
এখানে দক্ষতার ঘাটতি আছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের শেখানোর কাজ করতে শিক্ষার মাধ্যমিক পর্যায় থেকে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক পাঠ্যসূচির পাশাপাশি শেখাতে হবে হাতে-কলমে। ফলে তারা আগামীর জন্য দক্ষ এবং উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে—মিনা মাসুদ উজজামান, সদস্য, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
বিদেশি নাগরিকদের কাজের অনুমতি দেয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। এর বাইরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং কিছু মন্ত্রণালয় বিদেশি নাগরিকদের তাদের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে কাজ করার অনুমতি দিয়ে থাকে।
বিডার ২০২২-২৩ অর্থবছরের তথ্য বলছে, বিশ্বের ১০১টি দেশের নাগরিকের কাছ থেকে পাওয়া আবেদনের মধ্যে ১৬ হাজার ৩০৩টি আবেদনের অনুমোদন দিয়েছে। এটি আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ বেশি। অন্যদিকে, একই সময়ে বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন সংস্থা বাংলাদেশে থাকা বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ৬ হাজার ২৫৬টি নতুন ওয়ার্ক পারমিট এবং ১০ হাজার ৪৭টি নবায়ন করেছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে ১০৬টি দেশের ১৫ হাজার ১২৮ জন আবেদনকারী দেশে কাজের অনুমতি পেয়েছিলেন, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ৮৭ শতাংশ বেশি ছিল। এর মধ্যে ৭ হাজার ৭৯০টি নতুন ওয়ার্ক পারমিট এবং ৭ হাজার ৩৩৮টি নবায়নের অনুমোদন ছিল। তার আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮ হাজার ৭৬টি আবেদনের অনুমোদন দিয়েছিল বিডা।
আরও পড়ুন: দেশে ব্যয়বহুল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে
চলতি বছরের জুন পর্যন্ত রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের ভেতরে কাজ করতে ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি বিদেশি নাগরিককে অনুমতি দিয়েছে বেপজা। একই সময়ের মধ্যে বেজা ১ হাজার ৩৫০ জনকে অনুমতি দিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ক পারমিট পেয়েছেন ভারতের নাগরিকরা ৩ হাজার ১৫৯টি। এরপর চীন (২ হাজার ৩৩৯), শ্রীলঙ্কা (৭৫৯) ও বেলারুশ (৭২৭) রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশিরা নিজ নিজ দেশে পাঠিয়েছেন ১৩৭ মিলিয়ন ডলার। আর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ২০২০ সালের তথ্য বলেছে, বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিকরা প্রতি বছর পাচার করছেন অন্তত ৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ।
বাংলাদেশে কাজ করা বিদেশি বর্তমানে ৩৩ ধরনের প্রতিষ্ঠানে ১৬টি ক্যাটাগরিতে কাজ করছেন। বিদেশি এসব কর্মীর বেশিরভাগই ঢাকায় বসবাস করেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম, গাজীপুর, সাভার, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও তাদের দেখা যায়।
বাংলাদেশে আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। এখানে কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে সব সরকারেরই নীতিগত ঘাটতি ছিল। এটি পূরণ করা দরকার। এখানে ‘ইন্ড্রাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়ার কোলাবরেশন’ দরকার—মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন, সহকারী অধ্যাপক, শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এর মধ্যে বিদেশি কর্মীরা কাজ করছেন বাংলাদেশের পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান গার্মেন্টস, কম্পোজিট টেক্সটাইল মিল, ওভেন ও নিটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি, সোয়েটার ফ্যাক্টরি, বায়িং হাউস, মার্চেন্ডাইজিং কোম্পানি, ফ্যাশন হাউস, এনজিও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত রয়েছেন।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, লজিস্টিকস, বহুজাতিক কোম্পানি, বেসরকারি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান, মুঠোফোন কোম্পানি, পোল্ট্রি খাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠান, মৎস্য খামার, হ্যাচারি, চামড়াজাত প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলোতে রয়েছেন বিদেশি কর্মীরা।
দেশের বাইরে থেকে আসা কর্মীরা মিডিয়া রিসার্চ প্রতিষ্ঠান, বিজ্ঞাপনী সংস্থা, প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, আসবাবপত্র তৈরির কারখানা ও দোকান এবং নির্মাণ খাতসহ ৩৩ ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন বিদেশি কর্মীরা। বিশেষজ্ঞ, কান্ট্রি ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট, কোয়ালিটি কন্ট্রোলার, মার্চেন্ডাইজার, টেকনিশিয়ান, সুপারভাইজার, চিকিৎসক, নার্স, ম্যানেজার, প্রকৌশলী, প্রোডাকশন ম্যানেজার, ডিরেক্টর, কুক, ফ্যাশন ডিজাইনার ও শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন: অপরিকল্পিত উচ্চশিক্ষায় দেশের অর্থ ও মেধার অপচয়
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এটি দেশের বাজার ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সিলেবাস নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর মানে হলো শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে দক্ষ কর্মী সৃষ্টি করতে পারছে না। তাদের মতে, এজন্য প্রশিক্ষণ বাড়ানোর আগে জোর দিতে হবে শিক্ষালয়গুলোয় হালনাগাদ কাজেও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়াতে হবে সিলেবাসের আধুনিকীকরণও।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইআর) সহকারী অধ্যাপক মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বাংলাদেশে আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। এখানে কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে সব সরকারের নীতিগত ঘাটতি ছিল। এটি পূরণ করা দরকার। এখানে ‘ইন্ড্রাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়ার কোলাবরেশন’ দরকার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজার ব্যবস্থায় নজর দিয়ে ‘ইন্ড্রাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়া’র উচিত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া। সেজন্য বাজারে কোন কোন কাজের সুযোগ বা ক্ষেত্র আছে তা নিয়ে কাজ করা, শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করা, কারিকুলাম আপডেট করা দরকার। ফলে শিক্ষার ক্ষেত্রগুলো তৈরি হবে। ‘কোলাবরেশন’দের দায়িত্ব দুই পক্ষেরই—একাডেমিয়া উদ্যোগ নেবে, ইন্ড্রাস্ট্রি তাতে সহায়তা করবে। তাহলেই আমরা সময়োপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারবো। একই সঙ্গে সরকার নীতিমালা দিয়ে এক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে, যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেড়েছে শিক্ষার পরিমাণ, কমেছে গুণগত মান
সম্প্রতি যাত্রা শুরু করা ‘শিক্ষা অধিকার সংসদ’ও নানা সংস্কার নিয়ে কাজ করছেন মো. শাহনেওয়াজ খান চন্দন। সংগঠনটির সদস্য সচিব হিসেবে থাকা এ শিক্ষাবিদ বলছেন, আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা নিয়ে বাস্তবিক তথ্য থাকতে হবে। সেখানে দেখাতে হবে কারিগরি থেকে পড়াশোনা করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের হার কেমন এবং সাধারণ থেকে কেমন—তাহলে বাজারের বাস্তব অবস্থা তুলে ধরা সম্ভব হবে।
এখন আমাদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে জানিয়ে অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন চিন্তাবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এটি করা সম্ভব না হলে আগামীতে আমাদের বিভিন্ন খাতে যে দক্ষ জনশক্তি লাগবে তা পাওয়া যাবে না; এবং তা খুবই জরুরি। অন্যথায় আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিত করা যাবে না। এখন আমাদের দক্ষতা উন্নয়ন দরকার, দক্ষ লোকবল দরকার। আর শিক্ষার ভিত্তি শক্ত হলেই আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রবীণ এ শিক্ষা এবং অর্থনীতিবিদ মনে করেন, বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে দক্ষ জনবলের অভাবের সুযোগ নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী ভারত ও শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলো। ফলে বছরে এখান থেকে প্রায় ৫-৬ বিলিয়ন ডলার বিদেশে যাচ্ছে। সেজন্য এখানে সামঞ্জস্য করা দরকার; দক্ষতা বৃদ্ধি করা দরকার বলেও অভিমত তার। তিনি জোর দেন, দেশের তরুণ এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতেও।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিবৃত্তির পঞ্চাশ বছর কি কেবলই পিছিয়ে যাওয়ার?
ড. কাজী খলীকুজ্জমান মনে করেন, বর্তমানে সরকারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আওতায় দেশের তরুণদের সুযোগ আছে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে যাওয়া, চাকরি করা কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার। তবে সরকারের এসব উদ্যোগেরও আরও সম্প্রসারণ করা, সঠিক বাস্তবায়ন করা এবং তদারকি করারও দরকার আছে। এছাড়াও স্থানীয় বাজার চাহিদা পূরণে এখন বেশি জোর দেওয়া দরকার বলেও অভিমত তার।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে কথা হয় জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিকল্পনা ও দক্ষতামান) মিনা মাসুদ উজজামানের সঙ্গে। যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদা সম্পন্ন এ কর্মকর্তা তার দীর্ঘ কর্ম অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এখানে নিয়োগ কর্তারা দক্ষতা এবং যোগ্যতা বিচারের পাশাপাশি কর্মীদের মানসিকতার বিষয়টিও বিচার করে থাকেন। নিয়োগ কর্তারা মনে করেন, বিদেশিদের নিয়োগ দেওয়া হলে তারা বেশি কাজ করবেন। আর দেশীরা পরিবারসহ থাকার কারণে ছুটি এবং অন্যান্য বিষয়গুলো চলে আসে। ফলে তাদের কাজের পরিমাণ কম হয়।
এখানে দক্ষতার ঘাটতি আছে স্বীকার করে মিনা মাসুদ উজজামান জানান, এজন্য শিক্ষার্থীদের শেখানোর কাজ করতে শিক্ষার মাধ্যমিক পর্যায় থেকে। শিক্ষার্থীদের মৌলিক পাঠ্যসূচির পাশাপাশি শেখাতে হবে হাতে-কলমে। ফলে তারা আগামীর জন্য দক্ষ এবং উপযোগী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই সদস্য বলছেন, সরকার বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে। সেজন্য সমন্বয়ের পাশাপাশি নীতি-পর্যায়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও অভিমত জানান তিনি।