২৭ সরকারি শিক্ষককে অব্যাহতি ও কর্মকর্তার বিসিএস ক্যাডার ছাড়ার নেপথ্যে

দেশে সরকারি চাকরির জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা হয় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে
দেশে সরকারি চাকরির জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা হয় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে  © প্রতীকী ছবি

সরকারি চাকরি বিশেষ করে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে চলে তীব্র প্রতিযোগিতা। দিন দিন এ ধরনের প্রবনতা বাড়ছে। তবে এরইমধ্যে এক কর্মকর্তা বিসিএস ক্যাডারের নন নন-ক্যাডার সাব রেজিস্ট্রার পদে যোগদানের ঘটনা তুমুল আলোচনার জন্য দিয়েছে।

এ ছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৭ সহকারী শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অবশ্য তারা সবাই অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছিলেন। চাকরিপ্রার্থীদের সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য তীব্র প্রতিযোগিতার সময়ে এ দুই ঘটনা নানা ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিশেষ ক্যাডার বৈষম্যসহ নেতিবাচক অনেক বিষয়ও আলোচনায় আসছে। চাকরিকেন্দ্রীক বিভিন্ন গ্রুপেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তবে এসব কর্মকর্তা চাকরি ছাড়ার কারণ হিসেবে নতুন চাকরি পাওয়া ও পারিবারিক ব্যাপারসহ বিভিন্ন বিষয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।

বিসিএস ক্যাডার ছেড়ে নন-ক্যাডারের পদ সাব রেজিস্ট্রার হয়েছেন আদনান ফেরদৌস নামের এক কর্মকর্তা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিসিএস তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা বাংলাদেশ বেতারের গবেষণা ও গ্রহণ কেন্দ্রের সহকারী বেতার প্রকৌশলী আদনান ফেরদৌস ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে নন-ক্যাডার সাবরেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদানের জন্য আদনান ফেরদৌসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে ৫ জুন তারিখ অপরাহ্ণে বর্তমান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তথ্য ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছেন, বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে বেতারে যোগ দিয়ে ১০ বছরেও পদোন্নতি হয় না। পদোন্নতি না হওয়ার কারণে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও মর্যাদাসংকটে বেশি ভুগতে হয়। 

এ কারণে অনেক কর্মকর্তা তথ্য ক্যাডার ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন। সরকার ক্যাডার বৈষম্য কমানোর উদ্যোগ না নিলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও বাড়বে বলে মত তার। 

আরো পড়ুন: ৫৫ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কে কত বাজেট পাচ্ছে

এদিকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৭ সহকারী শিক্ষককে চাকরি হতে অব্যাহতি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব শিক্ষকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) সুপারিশ অনুযায়ী দুই শর্তে এ অব্যাহতি দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি মাধ্যমিক-১ শাখা।

শর্তের মধ্যে রয়েছে- সরকারি কোনো পাওনা ভবিষ্যতে উদঘাটিত হলে তারা তা পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবেন এবং তাঁরা স্বেচ্ছায় চাকরি হতে অব্যাহতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং চাকুরির নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ায় কোনরূপ আর্থিক (পেনশন, আনুতোষিক ইত্যাদি) ও অনার্থিক সুযোগ-সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন না।

মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে জানা গেছে, চাকরি ছাড়ার পেছনে তারা চারটি কারণের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হলো অন্যত্র চাকরি হওয়া, নতুন চাকরিতে যোগদান, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণ। তাদের অব্যাহতির আদেশ গত সোমবার (১০ জুন) জারি করা হয়। তালিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন।


সর্বশেষ সংবাদ