৪৬তম বিসিএসের আবেদন ফরম পূরণ করবেন যেভাবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ AM , আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৫০ AM
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল আকাঙ্ক্ষিত চাকরির নাম। বলা হয়ে থাকে, দেশের সর্বাপেক্ষা মেধাবীরাই এই পরীক্ষায় অংশ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্যাডার সার্ভিসের একটি পদে নিয়োগ লাভ করে। ইতোমধ্যেই ৪৬তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে তিন হাজার ১৪০ পদের আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে এই আবেদন চলবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ৪৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
যেভাবে আবেদন করবেন
আগ্রহী প্রার্থীদের প্রথমে ওয়েবসাইটে গিয়ে ৪৬তম বিসিএসের অনলাইনে আবেদন অংশে ক্লিক করতে হবে। সেখানে তিনটি অপশন পাবেন। সাধারণ ক্যাডার, উভয় ক্যাডার (সাধারণ ও কারিগরি ক্যাডার) এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার।
আপনার স্নাতক পর্যায়ে পঠিত বিষয়ে যদি কোনো কারিগরি পদ না থাকে, তাহলে সাধারণ ক্যাডার অপশনে ক্লিক করুন। আর যদি কারিগরি পদ থাকে, তাহলে উভয় ক্যাডার কিংবা শুধু কারিগরি ক্যাডার অপশন বাছাই করে আবেদন বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপরই বিপিএসসি ফরম-১ সামনে আসবে। সেখানে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত তথ্য, দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার চয়েজ-সংক্রান্ত তথ্য পূরণ করতে হবে।
নির্দেশ অনুযায়ী ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করে আবেদনপত্র সাবমিট সম্পন্ন হলে কম্পিউটারে ছবিসহ অ্যাপ্লিকেশন প্রিভিউ দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট হলে প্রার্থী একটি ইউজার আইডিসহ ছবি এবং স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। ওই অ্যাপ্লিকেন্টস কপি প্রার্থীকে প্রিন্ট অথবা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে একটি ইউজার আইডি দেওয়া থাকবে। এটি ব্যবহার করে টেলিটক প্রিপেইড মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ৭০০ টাকা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ১০০ টাকা জমা দিতে হবে। এরপর প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করতে পারবেন।
পরামর্শ
ফি জমা দেওয়ার পর অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে কোনো ভুল তথ্য দেয়া হলে সংশোধনের সুযোগ থাকবে না। কাজেই ফি জমাদানের আগে প্রিভিউ দেখে নিশ্চিত হয়ে ফি জমা দিতে হবে।
বিসিএস পরীক্ষা পদ্ধতি
বাছাই পরীক্ষা হয় তিন ধাপে। ধাপগুলো হলো- প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা।
প্রথম ধাপ (প্রিলিমিনারি): ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা।
দ্বিতীয় ধাপ (লিখিত): প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস পাওয়া যাবে সরকারি কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে।
তৃতীয় ধাপ (মৌখিক): লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা)। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৫০%।
প্রিলিমিনারির বিষয় ও নম্বর বণ্টন
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ওপর ১০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।