০৬ মার্চ ২০২২, ২২:৪২

বইমেলায় রুবাইদা গুলশানের ‘তিতা কথা’

রুবাইদা গুলশান  © টিডিসি ফটো

অমর একুশে বইমেলায় কবি ও কথাসাহিত্যিক রুবাইদা গুলশানের বই ‘তিতা কথা’ প্রকাশিত হয়েছে। সমসাময়িক বিষয়ে ছোট-বড় ৬৫টি জীবনমুখী মুক্তগদ্য দিয়ে সাজানো বইটি।

বই সম্পর্কে রুবাইদা গুলশান বলেন, ঝিনুকের প্রদাহে মুক্তা তৈরি হয়। জীবনের একটি কঠিন সমস্যাকে সে শিল্পের রূপ দেয়। চলার পথে ঘটনাগুলো থেকে ইতিবাচক অর্থ খুঁজে বের করে নিতে শিখলে জীবনের কদর্য ঘটনাগুলো মেনে নেওয়া সহজ হয়। জীবন তো সহজ নয়। কঠিন জীবনকে সহজ করতে প্রয়োজন নিজের চাহিদাকে সীমিত করে অন্যের চাহিদা পূরণের ব্যাপারে সচেষ্ট হওয়া এবং স্রষ্টার কাছে সকল কিছু সমার্পণ করা। 'তিতা কথা' বইটি এই জীবনের চলার পথকে একটু সহজ করার প্রচেষ্টা। হতে পারে সেই প্রচেষ্টা সাগরের বুকে এক ফোঁটা পানি দান করা কিংবা শস্যদানার মতো অন্যের উপকারে আসা।

রুবাইদা বলেন, সমসাময়িক বিষয়ে ৯৬ পৃষ্ঠার বইটির কোনো কোনো লেখা কেবল লেখা হয়েছে পাঠক-মনে তা যেন প্রশ্ন এবং গভীর ভাবনার উদ্রেক করে। সহজ-সরল, সত্য কথা যখন মানুষ বলে তা শুনতে তিতা-ই লাগে।

‘তিতা কথা’ বইটি প্রকাশ করেছে চিরদিন প্রকাশনী, স্টল ৬৮। প্রচ্ছদ মোস্তাফিজ কারিগর।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস নেবেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ অধ্যাপক

২০১৬ সালে রুবাইদা গুলশানের উপন্যাস ‘অন্তরালে বর্ণফুল’ প্রকাশিত হয়। ২০১৭ সালে কবিতার বই ‘বিভ্রমে নীলাম্বরী’, ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় গল্পগ্রন্থ ‘সেফটিপিন’। ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয় ছোট গল্পের বই ‘অরণ্যের গুঞ্জন’ এবং প্রবন্ধের বই ‘আঁধারের আলপনা’। ২০২০ সালে কবিতার বই ‘স্পর্শের ঘ্রাণ’ প্রকাশিত হয়।

‘সেফটিপিন’ বইটির জন্য রুবাইদা গুলশান ২০১৮ সালে নজরুল একাডেমি শেখ ফজলল করীম সাহিত্য সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘অরণ্যের গুঞ্জন’- এর জন্য লাভ করেন ঢাকার আসওয়াম ফাউন্ডেশন সম্মাননা।

রুবাইদার জন্ম ঠাকুরগাঁওয়ে। পৈতৃক নিবাস যশোরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোক প্রশাসনে স্নাতকোত্তর এই লেখক বাংলাদেশ ব্যাংকে উপপরিচালক পদে কর্মরত।