বইমেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের

বইমেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের
বইমেলার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, অপেক্ষা প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের  © সংগৃহীত

আজ থেকে শুরু হচ্ছে অমর একুশে বইমেলা। ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি। এদিন বিকেল তিনটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই মেলার উদ্বোধন করবেন। গত মঙ্গলবার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এবারের আয়োজনের বিস্তারিত জানান বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, ৬৩৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এবার। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১২০টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৩টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অংশে ৫১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৬৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গত বছর বইমেলায় অংশ নিয়েছিল ৬০১ প্রতিষ্ঠান। এবার প্রকাশনা সংস্থা বেড়েছে ৩৪টি। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় সাড়ে ১১ লাখ বর্গফুট এলাকাজুড়ে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

জানা যায়, এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতোই তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। মেট্রো স্টেশনের কারণে মেলার বাইরপথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি করা হয়েছে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্ল্যান্ট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৮টি প্রবেশ ও বাহিরপথ থাকবে। খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে।

গত বছরের মতো শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডানদিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের মতো শিশুচত্বর মন্দির গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড় পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে। এবার লিটল ম্যাগাজিন চত্বর স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৭০টি লিটলম্যাগকে স্টল দেওয়া হয়েছে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বই বিক্রি করবে। প্রতি শুক্রবার ও শনিবার মেলায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ‘শিশুপ্রহর’ থাকবে। অমর একুশে উদযাপনের অংশ হিসেবে শিশুকিশোর চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি এবং সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকবে।

একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে রেখেই আমাদের এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবারের মেলা উদ্বোধনের পর যে পথ দিয়ে মেলা ঘুরে ঘুরে দেখবেন সেই পথজুড়ে সাজানো থাকবে ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক তথ্যাবলি। দীর্ঘদিন পর বাংলা একাডেমি আবারও একক আয়োজনে ফিরেছে। সম্পূর্ণ আয়োজন আমরা দেখভাল করছি। আমরা চেষ্টা করছি সবচেয়ে ভালো বইমেলা উপহার দিতে।’ 

এবারের বইমেলা অধিবর্ষের বইমেলা। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। রাত সাড়ে ৮টার পর নতুন করে কেউ মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবেন না। ছুটির দিন বইমেলা চলবে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। 

একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মেলা শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। এবারও মেলার তথ্যকেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে নতুন বইয়ের খবর। মেলায় প্রতিদিন থাকবে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সভা। ‘লেখক বলছি’ মঞ্চে থাকবে বই নিয়ে লেখক-পাঠকের মতবিনিময়। প্রতিদিন বিকাল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।


সর্বশেষ সংবাদ