শেকৃবিতে ৫ বছরের স্নাতক ৭ বছরে, শুরু হয়নি স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
- টিডিস রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৮ PM , আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:২৮ PM
৬ মাস থেকে দুই বছরের সেশনজট নিয়ে ভুগছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতে কৃষি বিজ্ঞান, মৎস্য বিজ্ঞান ও পশু পালনে দক্ষ স্নাতক-স্নাতকোত্তর তৈরির কারিগর হিসেবে খ্যাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও সেশনজটের চক্রে পড়ে অনেকে শিক্ষার্থীই পড়ছেন হতাশায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫তম ব্যাচের অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পড়েছেন দীর্ঘ সেশনজটে। ৫ বছরের স্নাতক প্রায় ৭ বছরে (৬ বছর ৯ মাস) শেষ করার পরে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারেননি তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছরের ২৯ মে শেকৃবি রেজিস্টার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত কৃষি অনুষদ, অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি অনুষদ ও এগ্রো ম্যানেজমেন্টভুক্ত বিভিন্ন বিভাগে স্নাতকোত্তর/এমবিএ /পিএইচডি কার্যক্রমে আবেদনের জন্যে বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ হয় ৩০ জুন। আবেদনের শেষ কার্যদিবসে ৩০ জুন। কিন্তু কোনো ধরনের কারণ ছাড়াই ১৪ আগস্ট তারিখে রেজিস্টার শেখ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত স্নাতকোত্তর কার্যক্রমে ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স এবং অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি অনুষদে পুনরায় স্নাতকোত্তর আবেদনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। আবেদনের শেষ তারিখ নির্ধারণ করেন ৩১ আগস্ট। এতে অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিনে একই ব্যাচে দুবার আবেদনের তারিখ দেওয়া ও পেছানোয় ক্ষুব্ধ হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫তম ব্যাচের অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের শিক্ষার্থীদের ৫ বছর স্নাতক কার্যক্রম ২০২০ এরমধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও ফলাফল প্রকাশসহ স্নাতক কার্যক্রম শেষ হয় ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এতে প্রায় দুবছর (২১ মাস) জটের মুখোমুখি হন উক্ত অনুষদের শিক্ষার্থীরা। প্রায় দুই বছর সেশনজট কাটিয়ে স্নাতক শেষ হওয়ার এক বছর পার হলেও এখনো স্নাতকোত্তরে ভর্তি কার্যক্রমই শুরু করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫তম ব্যাচের অ্যানিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিনের অনুষদের শিক্ষার্থী তুহিন মৃধা জাগোনিউজকে বলেন, আমরা ইন্টার্ন (শেষ সেমিস্টার) শেষ করছি গত বছরের ২২ আগস্ট। স্নাতকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর। এরপর দীর্ঘদিন অপেক্ষা করার পর স্নাতকোত্তরের বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপন হওয়ার প্রায় ৪ মাস পরেও আমাদের স্নাতকোত্তর কার্যক্রম শুরু হচ্ছে না। সব মিলিয়ে স্নাতক শেষ করে আমরা প্রায় এক বছর অপেক্ষা করছি। কিন্তু স্নাতকোত্তর ভর্তির কোনো অগ্রগতি নাই। আমাদের ৭৫তম ব্যাচের কৃষি অনুষদের সঙ্গে স্নাতক শেষ করতে পার্থক্য ছিল মাত্র ৭ মাস। কৃষি অনুষদের (৭৫) শিক্ষার্থীদের বর্তমানে স্নাতকোত্তর ২য় সেমিস্টার চলছে কিন্তু আমরা ভর্তিই হতে পারিনি।
কৃষি অনুষদের ৭৬ ব্যাচের মোস্তফা রাফিদ বলেন, আমাদের স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৩০ জুন এরপরে সেটা বাড়িয়ে জুলাইয়ের ২৫ তারিখ করল। ২৫ তারিখের মধ্যে সবাই আবেদন শেষ করেছে ও আবেদনপত্র জমাও দিয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল বলেন, আমরা ১০ তারিখের পর কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। আশা করি ১৫-২০ তারিখের মধ্যে ভর্তি শুরু হবে। আমাদের এখানে ফার্মাকোলজি ডিপার্টমেন্টে মাস্টার্স চালু ছিল না ছাত্র সংখ্যা বেশি হওয়াই এটা এ বছর চালু করেছি। একাডেমিক মিটিংয়ে সিন্ডিকেটের অনুমতি নিয়ে এবং প্রথমবার বিজ্ঞপ্তির পরে এজন্য দুবার দেওয়া হয়েছে।