‘মাইর কিন্তু একবারই পড়বে’, শেকৃবিতে ছাত্রদলের পোস্টার ছেঁড়ার পর হুমকি

ছাত্রদলের লাগানো পোস্টার
ছাত্রদলের লাগানো পোস্টার  © টিডিসি ফটো

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের ৭ নভেম্বর প্রোগ্রাম উপলক্ষে লাগানো পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতিক্রিয়াস্বরূপ ওই স্থানে পোস্টারের গায়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

৭ নভেম্বর বিএনপির ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে শেকৃবির নানা স্থানে পোস্টার লাগান ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। রাজনীতি নিষিদ্ধ ক্যাম্পাসে এরূপ পোস্টারের প্রতিবাদে নানা স্থানে সাধারণ শিক্ষার্থী কর্তৃক পোস্টার ছেঁড়ার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে পোস্টারে ও ফেসবুকে হুমকি দিয়ে লেখালেখি করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব সিরাজউদ্দৌলা হলে দেখা যায়, ৭ নভেম্বর বিএনপির ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে টাঙানো পোস্টারটি ছেঁড়া। ছেঁড়া পোস্টার টেপ দিয়ে লাগিয়ে সেখানে হুমকিমূলক বক্তব্য লেখা। হুমকিতে লেখা হয়েছে, ‘একবার ছিড়ছিস, বারবার ছিড়...সমস্যা নাই। মাইর কিন্তু একবারই পড়বে। কে কোন দিক থেকে মারতেছে, বুঝতেই পারবি না।’ এ ছাড়া লিখেছেন, ‘শান্তি চাই সবাই, শান্তিতে থাকতে দে।’

এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম (ফেসবুক) এ বিভিন্ন হুমকি দিয়েছেন ছাত্রদল কর্মী। ছাত্রদল কর্মী মো. মোজাহিদুল ইসলাম তোহা লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাস কি তোর বাপের রে? যতটুকু ক্যাম্পাস তোর, ততটুকু আমাদেরও। পোস্টার ছিড়িস কোন সাহসে?’

পোস্টারের ওপর লিখিত হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি তাপস কবীর বলেন, ‘কে পোস্টার ছিড়েছে, আবার কে তাতে কী লিখে দিয়েছে, এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’

আরও পড়ুন: ঢাবিতে রাজনীতি নিয়ে দুই মেরুতে ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা, নেপথ্যে কী

জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মাঝে আধিপত্য বিস্তার ও ফেসবুক পোস্ট দেওয়ায় অভিযুক্ত মোজাহিদুল ইসলাম তোহা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন তো অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী নতুন ছাত্রদলে যোগ দিচ্ছে, সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। তবে যেহেতু সে ছেলে সম্পর্কে শুনলাম, খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করবো। কেউ বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তার জায়গা ছাত্রদলে হবে না।’

উল্লেখ্য, স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ৪৫(৪) উপ-ধারা মোতাবেক সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও সব ধরনের দলীয় ও লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ) নিষিদ্ধ করা হয়।

পাশাপাশি এ আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রযোজ্য বিধিমতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এই আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করার ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।


সর্বশেষ সংবাদ