ক্যাম্পাসে সিএনজি চালকের শ্লীলতাহানির শিকার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী
- বাকৃবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫০ AM , আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫৪ AM
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সিএনজি চালকের শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিনা) আবাসিক এলাকা সংলগ্ম সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহজালাল পশু পুষ্টি মাঠ গবেষণাগারে আমার ক্লাস ছিলো। সাড়ে বারোটার দিকে বিনার আবাসিক এলাকার সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এক সিএনজি চালক পেছন থেকে এসে অশালীনভাবে আমার গায়ে হাত দেয়। আমার প্রায় দু-হাত সামনেই আমার দুজন বান্ধবী ছিলো। আমরা তখন ভয় পেয়ে সাহায্যের জন্যে চিৎকার করতে থাকি।
তিনি বলেন, একপর্যায়ে আমরা দৌঁড়াতে শুরু করি। কিছুক্ষণ পর পেছনে ফিরে তাকালে চালকটিকে সিএনজি নিয়ে চলে যেতে দেখেছি। এরপর আমি মানসিকভাবে ভীত হয়ে পড়লে আমাকে হলে নিয়ে আসে আমার বান্ধবীরা। তাদের মাধ্যমে বিষয়টি ক্লাসের অন্যান্যরা জানতে পারলে সিএনজিকে ট্র্যাক করার জন্যে প্রক্টর অফিসে যোগাযোগ করে।
সিএনজি চালকের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, চালকের বয়স আনুমানিক ২০-২৫ বছর হতে পারে। গায়ে জোব্বা ও মাথায় টুপি পড়া ছিলো।
আরও পড়ুন: হলে স্বামীকে আটকে জাবির জঙ্গলে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায়শই এরকম ঘটনা ঘটে চলেছে। আজকের এ ঘটনা সকলের সামনে এসেছে। কিন্তু এমন ঘটনা আরও ঘটে যেগুলো ভয় বা লজ্জায় অপ্রকাশিত থেকেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই রাস্তাটি অন্যান্য জায়গায় চেয়ে একটু ফাঁকা। আবার ওইদিক দিয়েই আমাদের ক্লাসে যেতে হয়। কিন্তু এ রাস্তায় কোনো নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এরকম সুনসান রাস্তাগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ করা জরুরি। এসময় প্রশাসনের কাছে তারা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সিএনজিটির নম্বর সংগ্রহ করেছি। সংশ্লিষ্ট সকল নিরাপত্তা বিভাগেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন সিএনজিটি ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মীর সংকটের কথা স্বীকার করে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।