বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে: হকৃবি ভিসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ AM , আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:৪৭ AM
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত বলেছেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নত শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে উপাচার্য এসব কথা বলেন।
হকৃবি উপাচার্য বলেন, আগামীতে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলের ভূমিকা রাখতে হবে।
বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার সেই স্বপ্নকে ধারণ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ শুরু করেছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে কৃষি, মাৎস্যবিজ্ঞান, প্রাণিসম্পদ ও প্রাণিচিকিৎসা অনুষদের শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের ফেস্টুন ও কৃষি যন্ত্রপাতি নিয়ে ঐতিহ্যবাহী সাজে অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রী হল প্রাঙ্গণ ঘুরে একাডেমিক ভবন-১ এর সামনে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে উঠছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
এরপর শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত। উদ্বোধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত মঞ্চের সামনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন উপাচার্য।
পরে বেলা ১১টায় হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন উপাচার্য। দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৬ জন আলোকচিত্রীর ছবি প্রদর্শন করা হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্থাপিত ‘ফার্মার্স সাপোর্ট সার্ভিসেস’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এতে চাষি ও কৃষকসহ হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষ কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিচিকিৎসা সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা পাবেন।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের জন্য স্বল্পমূল্যে ফটোকপি ও প্রিন্টিং সেবা এবং নতুন সংযোজিত কম্পিউটারের উদ্বোধন করেন উপাচার্য। এছাড়া ক্যাম্পাসে নির্মিত অনুশীলন ক্রিকেট মাঠের এবং অস্থায়ী ছাত্রী হলে ছাত্রীদের খেলাধুলার কক্ষ উদ্বোধন করেন উপাচার্য।
এদিন সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও রাত ৮টায় ‘এক্স আলফা’ ব্যান্ডের পরিবেশনায় কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।