ইলিশ ও টুনা মাছ কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন শেকৃবির গবেষকদের
দেশে প্রথমবারের মতো ইলিশ ও টুনা মাছের কৌটাজাতকরণ (ক্যানিং) প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) দুজন গবেষক। মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতাধীন এই গবেষণায় নেতৃত্ব দেন শেকৃবি ফিশারিজ, একোয়াকাচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এবং এতে সহযোগী ছিলেন উক্ত অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা।
গত বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এই প্রযুক্তিতে তৈরি ইলিশ ও টুনা মাছের ক্যানের মুখ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রযুক্তিটির উদ্বোধন করেন শেকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া।
গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন, বর্তমানে ‘রেডি-টু-ইট’ এবং ’রেডি-টু-কুক’ খাদ্যের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে এই কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তিটির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহনের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হবে রাবির ভর্তি পরীক্ষা
শেকৃবিতে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে এর কাটা নরম হয়ে মাংসের সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে, এতে কাটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু নরম কাটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা, সেদিন ক্লাসে কী ঘটেছিল?
অপরদিকে জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে কৌটাজাতকৃত টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ রপ্তানি করে করে বাংলাদেশ। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের টুনা মাছ কৌটাজাতকরণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।