প্রতিষ্ঠার পর থেকে কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে সিকৃবি

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য পদের পাশাপাশি উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদ থাকলেও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে নেই কোনও উপ-উপাচার্যের পদ। কোষাধ্যক্ষ পদ থাকলেও গত ১৬ বছরে এই পদে নিয়োগ পাননি কেউ। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজেই পালন করছেন কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের বিলুপ্তকরণ ও হেফাজতের কথা উল্লেখ করে ‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’ এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে উল্লেখ থাকলেও গত ১৬ বছরে এখন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য একজন কোষাধ্যক্ষের পদ রয়েছে।

‘সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৬’ এর ১২তম ধারায় উল্লেখ আছে, চ্যান্সেলর থেকে নির্ধারিত শর্তে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন অধ্যাপক অথবা আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তিকে চার বছর মেয়াদের জন্য কোষাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পূর্ণকালীন কর্মকর্তা হবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয় তার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরও পড়ুন: জাল সনদে কলেজের প্রভাষক থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার!

কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থসংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে উপাচার্য, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরামর্শ দেবেন। কোষাধ্যক্ষ, সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব বিবরণী পেশ করার জন্য সিন্ডিকেটের কাছে দায়ী থাকবেন।

একই আইনের ১০ম ধারায় উল্লেখ আছে, উপাচার্য পদ ১৫ দিনের বেশি শূন্য থাকলে কিংবা ছুটি, অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোনও কারণে তিনি দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত কিংবা উপ-উপাচার্য পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত চ্যান্সেলরের ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত না থাকা সাপেক্ষে কোষাধ্যক্ষ উপাচার্যের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) মো. আবু ইউসুফ মিয়া বলেন, আমরা ইতিমধ্যে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ নেই তা শনাক্ত করেছি। অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়েই কোষাধ্যক্ষ নেই। আমরা সেগুলোতে নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা করবো।


সর্বশেষ সংবাদ