পলিশ করার কারণে চালে পুষ্টি থাকছে না: খাদ্যমন্ত্রী
পলিশ করার কারনে চালে পুষ্টি থাকছে না, বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শনিবার (১ অক্টোবর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
শেকৃবিতে দুই দিন ব্যাপি আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড -২০২২ শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.শহীদুর রশিদ ভূইয়া, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ , খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসাইন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ১৮এর ক ধারায় জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টির উপর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। একসময় দেশের অনেক অঞ্চল মংগা এলাকা হিসেবে পরিচিত ছিলো এবং মানুষ আশ্বিন-কার্তিক মাসেও ভালোভাবে খেতে পেতো না। বাংলাদেশের বিভিন্ন কৃষি গবেষক, সংস্থা ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে প্রচুর উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছে।'
আরও পড়ুনঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পূজোর দিনেও হবে পরীক্ষা
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের প্রধান খাদ্য ভাত হলেও আমারা ভাতের মাধ্যমে কোন পুষ্টি পাচ্ছি না। পলিশ করার কারনে চালে পুষ্টি থাকছে না। প্রতি ১০০ মেট্রিক টন চাল পলিশ করতে ৫ মেট্রিকটন চাল সম্পূর্ণ নষ্ট হয় যা সুজি বা আটা তৈরিতেও ব্যবহার করা যায় না।'
আন্তর্জাতিক পুষ্টি অলিম্পিয়াড নিয়ে তিনি বলেছেন, 'আমাদের দেশেই সর্বপ্রথম এই পুষ্টি অলিম্পিয়াড শুরু হয়েছে এবং তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।'
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড.শহিদুর রশিদ ভূইয়া বলেন, 'উদরপূর্তি খাদ্যের লক্ষ্য নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ খাদ্যের প্রধান লক্ষ্য। আমরা এখনও ভাতের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। শুধু প্রচুর মাংস, মাছ বা দুধ খেলেই পুষ্টি সরবরাহ হয় না। খাদ্যের বৈচিত্র্য আনলেই একমাত্র পুষ্টি সরবরাহ সম্ভব।'
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন বলেন, 'পুষ্টি এবং খাদ্য নিরাপত্তা শুধু আমাদের বাংলাদেশের সমস্যা নয় এটি বৈশ্বিক সমস্যা। বর্তমান বিশ্বে খাদ্যের নিরাপত্তা, খাদ্যের পর্যাপ্ততা এবং খাদ্যের পুষ্টিমান একটি বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ। খাদ্যের পুষ্টিমান বজায় রাখতে বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই প্রয়োজন হলো আমাদের মানসিকতা এবং বৈচিত্র্যময় খাবারের অভ্যাস গড়ে তোলা।'