শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফলে অসঙ্গতি, বাদ পড়ল ডুপ্লিকেট রোল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি ধরার পড়ার পর ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রকাশিত ফলাফল সংশোধন করা না হলেও বাদ দেওয়া হয়েছে ডুপ্লিকেট রোল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওয়েবসাইটে বার্তায় বলা হয়েছে, শাবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর প্রকাশিত ফলাফলে কোনরূপ সংশোধন করা হয়নি। প্রকাশিত এ-১ ইউনিটের ক্রম তালিকায় ১২০০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি রোল ছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীর রোল দুইবার ছিল। রিভাইসড তালিকায় শুধু ডুপ্লিকেট রোলসমুহ বাদ দেয়া হয়েছে।

গত রবিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপরই ফলাফল প্রস্তুত ও প্রকাশিত ফলে নানারকম অসঙ্গতি দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। ফলাফলে দেখা যায়, একেকজনের ফলাফল কয়েকবার করে প্রকাশিত হয়েছে। এমনকি এক পেজের পিডিএফে ১১ জনের ফলাফলে সমস্যা পাওয়া যায়।

কারও ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল তিনবারও এসেছে। এসব ফলাফলে চরম অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা জানান, প্রকাশিত ফলাফলে এরকম অসঙ্গতি একাধিক থাকতে পারে। এর আগে ফলাফল প্রস্তুতে উচ্চমাধ্যমিকের ফল নিয়েও অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এক শিক্ষার্থী।

আরো পড়ুন: তৃতীয়বারের মতো দেশসেরা বিজিসি ট্রাস্ট, টপ-টেনে নেই বুয়েট-নর্থ সাউথ— বিস্ময় ইউজিসির

এতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রকৃত নম্বর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা করেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। এসব তথ্যের ভুলের কারণে অনেকের নম্বর কম বা বেশি হওয়ার আশঙ্কা করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির কর্তৃপক্ষ বলছে, রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম কোম্পানি টেলিটক তথ্য আপডেট করেনি বলে সংশোধন হয়নি। এতে ফলাফল প্রস্তুতে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুম বলেছিলেন, ‘টেলিটক আমাদের যে ডেটা দিচ্ছে, সেটাই আমাদের সাইটে দেখাচ্ছে। তবে আজকে রেজাল্ট প্রকাশের দিন সব টেকনিক্যাল সমাধান হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট পেতে সমস্যা হবে না।’

আর ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক বদিউজ্জামান ফারুকের ভাষ্য ছিল, ‘এ বিষয়ে আমি খুব একটা জড়িত নই। ভর্তি পরীক্ষার সদস্য সচিব ভালো বলতে পারবে।’ পরে ভর্তি পরীক্ষার সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলামকে ফোন দিলেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ