জাবিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমছে, পাসের নম্বর বাড়ছে
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৫ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ AM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো ও পরীক্ষায় পাসের নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশের নম্বর ৩৩ শতাংশ থেকে বাড়িতে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যলয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক জরুরি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সভায় ভর্তি পরীক্ষার ফি ও ভর্তি পরীক্ষায় পাসের নম্বর ৩৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি) (এ ইউনিট), সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (বি ইউনিট), কলা ও মানবিকী অনুষদ + আইন অনুষদ + তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট মিলে (সি ইউনিট) ও জীববিজ্ঞান অনুষদে (ডি ইউনিট) ৭০০ টাকা করে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদেল্প (ই ইউনিট) ৬০০ টাকা,
চারুকলা এবং নাট্য ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে (সি ১ ইউনিট) ৫০০ টাকা এবং ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ( আইবিএ-জেইউ) ৫০০ টাকা ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এর আগে এ, বি, সি ও ডি ইউনিটে যথাক্রমে ৯০০ করে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছিল।এছাড়া ই ইউনিটে ৭৫০ টাকা এবং আইবিএ-জেইউ তে ও সি ১ ইউনিটে ৬০০ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এছাড়াও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একাধিক শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও মোট আসনকে সমহারে বন্টন করে প্রতি শিফটে আসন বরাদ্দ করে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে এবং গ্রুপভিত্তিক আসন বরাদ্দকৃত ইউনিটের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক আনুপাতিক হারে প্রতি শিফটে গ্রুপভিত্তিক আসন বরাদ্দ করে মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
এছাড়া মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১.৫ দ্বারা এবং উচ্চমাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২.৫ দ্বারা গুণ করে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সাথে যোগ করে মোট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট বা বিভাগের আসন সংখ্যার সর্বাধিক ১০গুন শিক্ষার্থীর পৃথক মেধা তালিকা প্রস্তুত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পোষ্য কোটায় মেধা ক্রম অনুযায়ী প্রত্যেক বিভাগে সর্বোচ্চ ৪ জন শিক্ষার্থী বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।