কৃষি গুচ্ছের ১৯৩ আসন শূন্য, ডাকা হয়েছে ভর্তিচ্ছুদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০১ PM , আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ PM
কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতক শ্রেণির ১৯৩টি আসন শূন্য রয়েছে। এসব আসন পূরণের জন্য অপেক্ষমানদের মধ্য থেকে নতুন মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) ভর্তি নেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি সভাপতি ও সিভাসু উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কৃষিগুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করার পর শূন্য আসনের জন্য অবশিষ্ট অপেক্ষমাণ তালিকার প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। গত ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচিত প্রার্থীরা স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে উপস্থিতিতে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং অটোমাইগ্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৩টি আসন শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩১টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫২টি আসন রয়েঝে। এসবআসনের বিপরীতে শূন্য আসন সংখ্যার তিন গুণ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে।
১. ভর্তির জন্য যোগ্য প্রার্থীদেরকে নিম্নবর্ণিত সময়সূচি অনুযায়ী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কমপ্লেক্সে (নিচ তলা) সশরীরে উপস্থিত হয়ে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রয়োজনীয় জনবলসহ উক্ত সময়সূচি অনুযায়ী শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
২. ভর্তির সময় প্রার্থীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার মূল সনদ/ট্রান্সক্রিপ্ট, প্রশংসাপত্র এবং চার কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি (ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্রে প্রদত্ত ছবির অনুরূপ) জমা দিতে হবে। কোটা সংক্রান্ত মূল ডকুমেন্টস প্রদর্শন করতে হবে/প্রযোজ্য ক্ষেত্রে জমা দিয়ে ভর্তির যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে।
স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের যথোপযুক্ত কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর কোটা সংক্রান্ত ডকুমেন্টস যথাযথভাবে যাচাইপূর্বক তাদের ভর্তি সম্পন্ন করবে। কোটার সনদসমূহ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত হতে হবে।
ক. মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক স্বাক্ষরিত সনদ। মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনিদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সংশ্লিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধার অমুক পুত্র/কন্যার সন্তান/নাতি-নাতনি এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট উল্লেখপূর্বক সনদ।
খ. উপজাতি/ আদিবাসী কোটার জন্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সনদ।
গ. প্রতিবন্ধী কোটার জন্য উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তার সনদ।
ঘ. হরিজন-দলিত কোটার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সনদ।
ঙ. পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত পোষ্য সংক্রান্ত সনদ।
আরো পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বের হলো ৭ বিশ্ববিদ্যালয়, ভর্তি আবেদন চলছে যেসব প্রতিষ্ঠানের
চ. প্রবাসীর সন্তানের ক্ষেত্রে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সনদ।
ছ. বিকেএসপির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সনদ।
জ. ছিটমহলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত সনদ।
৩. ভর্তি ফি বাবদ আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।
নতুন মেধাতালিকা ও বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।