২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৭

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন পূরণে যে কাজগুলো এগিয়ে রাখবে ভর্তিচ্ছুদের

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা  © সংগৃহীত

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। কঠোর পরিশ্রম, তীব্র সাধনা, অধ্যাবসায়ের মধ্য দিয়ে তারা নিজেদেরকে এ জন্য প্রস্তুত করে তোলে। তবে সামান্য কিছু ভুলের জন্য স্বপ্ন পূরণ নাও হতে পারে। এ সময় তাদের প্রয়োজন সঠিক দিক-নির্দেশনা ও প্রস্তুতি, যেন তারা সাফল্যের হাসি হাসতে পারেন।

সময় ব্যবস্থাপনা
শিক্ষার্থীদের সময়ের সঠিক ব্যবহার শিখতে হবে। সময় ব্যবস্থাপনা না জানার জন্য অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধে পিছিয়ে পরবে। নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়া শেষ করে ছোট করে বিরতি নিতে হবে। কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক প্রশ্নের উত্তর করা যায় সেটি সম্পর্কে  বুঝতে হবে, এ জন্য প্রয়োজন প্রচুর অনুশীলন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় সেট করে কাজ করা শিখতে হবে। সারাদিনের সময়ের কাজগুলো নির্দিষ্ট সময় ভাগ করে করা আয়ত্তে আনতে হবে। 

পরিকল্পনা অনুসারে পড়া 
শিক্ষার্থীদের উচিত নিজেদের দৈনন্দিন কাজের একটি সঠিক পরিকল্পনা তৈরি করা। পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করলে যেকোনো কাজই অনেক সুন্দরভাবে করা সম্ভব। তাই নিজের সিলেবাস অনুসারে একটি পরিকল্পনা সাজিয়ে কাজ করা শিখতে হবে।

অধিক অনুশীলন
এ সময় পড়ার কোনো বিকল্প নেই। প্রচুর পড়তে হবে এবং তা অনুশীলন করতে হবে। নিজের দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে এবং সেটি অধিক পরিমাণে অনুশীলন করতে হবে। এ সময় যে যত বেশি অনুশীলন করবে, অন্যদের চেয়ে সে তত বেশি এগিয়ে থাকবে। আগের বছরের প্রশ্নগুলো বারবার সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। অধিক অনুশীলনের মাঝে নিজের দূর্বলতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। টেস্ট পেপারের প্রশ্ন সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।  

কোচিং এর গুরুত্ব
কোচিংগুলো পরীক্ষার্থীদের কেবল যুদ্ধের রাস্তাগুলো চিনিয়ে দেয়। কিন্তু যুদ্ধটা তার নিজেকেই করতে হয়। তার নিজের পড়া তার নিজেকেই গুছিয়ে নিতে হবে। তাই কোচিং এর উপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল না হয়ে নিজের পড়া নিজেকেই গুছিয়ে নিতে হবে। তবে কোচিং গুলোতে সাপ্তাহিক পরীক্ষা হয়ে থাকে। এগুলোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নিজের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। 

আরও পড়ুন: বিসিএস প্রিলির ফল দ্রুত প্রকাশের নতুন রেকর্ড গড়ছে পিএসসি

আত্নবিশ্বাসী হওয়া 
নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস রাখতে হবে। নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস হারিয়ে ফেললে যুদ্ধ জয়ের আগ্রহ হারিয়ে যায়। নিজের সক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস রাখতে হবে। অন্যের সাথে তুলনা করে নিজের উপর থেকে বিশ্বাস উঠানো যাবেনা। 

শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি গুরুত্ব
এ সময় আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল হতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং সুষম খাবার গ্রহণে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রস্তুতির পুরো সময়টাতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবেও অনেক বেশি চাপে থাকে।এজন্য মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি হতে হবে বিশেষ যত্নশীল। কেননা মন ভালো না থাকলে পড়াশোনাও ঠিকপমতো হবেনা।

শিক্ষার্থীর নিজের যুদ্ধ তার নিজেকেই করতে হবে। তবে সঠিক দিক নির্দেশনা মেনে চললে এবং সহজ কৌশল অবলম্বন করলে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকা সম্ভব।