২৩ জুলাই ২০২২, ১৫:৫২

চবিতে ‘সেকেন্ড টাইম’ রাখা নিয়ে যা বললেন ভিসি

চবি লোগো এবং অধ্যাপক শিরীণ আখতার  © ফাইল ছবি

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না থাকাকে অযৌক্তিক বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতি সম্মান জানালেও এই মুহূর্তে সেটি বাস্তবায়ন করা কঠিন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার।

গত বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটে কাউন্সিল কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি আবার শিক্ষার্থীদের সামনে দেয়াল তুলে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীরা কেন একবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে? ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সুযোগ না থাকা অযৌক্তিক। আমরা এটা ভুলে যাই যে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে তারা নিজেদের মেধার মাধ্যমেই সুযোগ পাচ্ছে। তাহলে একবারের বেশি কেন সে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে না?

শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে আমি পুরোপুরি একমত পোষণ করছি। আমাদের এ বিষয়ে কাজ করার সুযোগ আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিচ্ছে। আবার আমাদের দেশেরই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় যে উৎকণ্ঠা প্রকাশ পেয়েছে সেটি যথার্থ। তবে এটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় আমাদের সে বিষয়ে কাজ করতে হবে।

আরও পড়ুন: বুয়েট-ঢাবি-মেডিকেলে চান্স পেলেন একই কলেজের ২৪০ শিক্ষার্থী

শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসির এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিলে একটি অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। সেকেন্ড টাইমের কারণে যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে তারা বঞ্চিত হবে। এটি নিয়ে এই মুহূর্তে আমরা ভাবছি না।

প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।