জাবির ভর্তি আবেদন শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) শেষ হচ্ছে। এদিন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ভর্তি আবেদন করতে পারবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। এর আগে, গত ১৮ মে সকাল ১০টা থেকে জাবির ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন ওয়েবসাইট (juniv-admission.org) থেকে এ আবেদন করতে পারছেন ভর্তিচ্ছুরা।
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পাঁচ ইউনিট মিলে ২৫ দিনে মোট ১ লাখ ৯০ হাজার ৮৬০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ‘এ’ ইউনিটে ৫৪ হাজার ৩৬৫টি, ‘বি’ ইউনিটে ২৯ হাজার ৯৬০টি ও ‘সি’ ইউনিটে ৩২ হাজার ২৯৫টি আবেদন পড়েছে।
জাবির ‘ডি’ ইউনিটে সবচেয়ে বেশি ও ‘ই’ ইউনিটে সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে। ‘ডি’ ইউনিটে ৬২ হাজার ৪০৪টি আবেদন ও ‘ই’ ইউনিটে ১১ হাজার ৭৮৩টি আবেদন পড়েছে।
এবার জাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩১ জুলাই হতে ১১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। তবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. আবু হাসান জানিয়েছেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করেই জাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এজন্য শিক্ষার্থীদের যাতে দুর্ভোগ না হয়, সেই বিবেচনা করেই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে জাবির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন : চবিতে সেকেন্ড টাইমের দাবিতে ইউজিসি চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি
জাবির ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য ও সিটপ্ল্যান juniv-admission.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে নিম্নের (২)-এ বর্ণিত প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মোট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট/বিভাগের আসন সংখ্যার সর্বাধিক ১০ (দশ) গুণ শিক্ষার্থীর পৃথক তালিকা মেধা অনুযায়ী প্রণয়ন করা হবে। সি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের চূড়ান্ত মেধাক্রম ব্যবহারিক পরীক্ষার পরে প্রকাশ করা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১.৫ দ্বারা এবং উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২.৫ দ্বারা গুণ করে ফলাফল তৈরি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ০ লেভেল এবং A লেভেল-এর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ গ্রেডের জন্য ৫, ৪ গ্রেডের জন্য বি, সি গ্রেডের জন্য ৩.৫ এবং D গ্রেডের জন্য ৩ পয়েন্ট গণ্য করা হবে। উল্লিখিত গ্রেডিং/পয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনো গ্রেড/পয়েন্ট থাকলে তা সিএসই’র গ্রেডিং সমতা নির্ধারণী কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।