জাবির এ ইউনিট খুঁটিনাটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার আবেদন গত ১৮ মে থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ আবেদন করতে পারবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। জেনে নেওয়া যাক, জাবির ‘এ’ ইউনিটের খুঁটিনাটি বিষয়ে____
আবেদন: জাবির ‘এ’ ইউনিটে ১৬ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন ওয়েবসাইট (juniv-admission.org) থেকে ভর্তিচ্ছুরা এ আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন যোগ্যতা: এসএসসি ২০১৮ এবং এইচএসসি ২০২০ ও ২০২১ সালের পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি আবেদনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করবেন। তবে বিষয়ভিত্তিক কিছু শর্তও রয়েছে। শর্তগুলো নিম্নে বর্ণিত হলো____
A ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি): মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে নূন্যতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।
ডিপার্টমেন্ট এবং সাবজেক্ট পেতে হলে নূন্যতম শর্তসমূহ:
- গণিত→ মোট জিপিএ ৮.০০→(গণিতে A- (মাইনাস) গ্রেড
- পরিসংখ্যান→ মোট জিপিএ ৮.০০→(পরিসংখ্যান/গণিতে A- গ্রেড)
- রসায়ন→ মোট জিপিএ ৮.৫০ →(রসায়নে A এবং গণিতে A- গ্রেড)
- পদার্থবিজ্ঞান→ মোট জিপিএ ৮.০০→(পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে A গ্রেড)
- ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান → মোট জিপিএ ৮.৫০→ (পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে A- (মাইনাস) গ্রেড
- কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং → মোট জিপিএ ৯.০০ ( পদার্থবিজ্ঞান ও গণিতে A+ গ্রেড)
- পরিবেশ বিজ্ঞান → মোট জিপিএ ৮.৫০ (গণিত, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও জীববিদ্যায় A- (মাইনাস) গ্রেড
- ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি →মোট জিপিএ ৯.০০(পদার্থ ও গণিত/পরিসংখ্যানে A গ্রেড)
আবেদন ফি: জাবির এ, বি, সি ও ই ইউনিটে আবেদন ফি ৯০০ টাকা ও ডি ইউনিটে আবেদন ফি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি’র পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী হবে।
গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ & IIT (A ইউনিটে) বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা |
||||
ক্রমিক নং |
বিভাগ |
ছাত্র |
ছাত্রী |
আসন সংখ্যা |
১ |
কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং |
২৫ |
২৫ |
৫০ |
২ |
রসায়ন |
৩৫ |
৩৫ |
৭০ |
৩ |
পদার্থবিজ্ঞান |
৩৫ |
৩৫ |
৭০ |
৪ |
গণিত |
৪০ |
৩৫ |
৭৫ |
৫ |
পরিসংখ্যান |
৩৫ |
৩০ |
৬৫ |
৬ |
পরিবেশ বিজ্ঞান |
২০ |
২০ |
৪০ |
৭ |
ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান |
২০ |
২০ |
৪০ |
৮ |
IIT |
২৮ |
২৮ |
৫৬ |
মোট আসন সংখ্যা |
২৩৮ |
২২৮ |
৪৬৬ |
ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ: এসএসসি ও এইচএসসি প্রাপ্ত জিপিএ’র জন্য ২০ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএর ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ এবং এইচএসসি’র ক্ষেত্রে ১২ দশমিক ৫ নম্বর বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
ভর্তি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন: জাবির 'এ' ইউনিটে বাংলা ৩, ইংরেজি ৩, গণিত ২২, পদার্থবিজ্ঞান ২২, রসায়ন ২২ এবং আইসিটি ৮ নম্বর।
ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস: এবারের ভর্তি পরীক্ষা এইচএসসি’র পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুযায়ী হবে। এইচএসসি ২০২১ পরীক্ষার্থীদের জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন : জাবির ভর্তি আবেদনের খুঁটিনাটি
বাংলা ১ম পত্র:
গদ্য: অপরিচিতা, আমার পথ, বায়ন্নর দিনগুলো, রেইনকোট, নেকলেস
পদ্য: ঐকতান, সাম্যবাদী, তাহারই পড়ে মনে, সেই অস্ত্র, ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯
বাংলা সহপাঠ্য: লালসালু উপন্যাস, সিরাজদৌল্লা নাটক
বাংলা ২য় পত্র: বানান শুদ্ধি, প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বাক্য, সমাস, উপসর্গ, পারিভাষিক শব্দ, অনুবাদ, উচ্চারণ, পদ, শব্দ
ইংরেজি ১ম পত্র: 1,2,3,4,5,6,7,12 Unit
ইংরেজি ২য় পত্র: Modifier, Punctuation, Vocabulary, Phrase, Clause, Preposition, Right from of verb, Adverb, Tense, Narration, Noun
সাধারণ জ্ঞান: সাধারণ জ্ঞান অংশে কোন সিলেবাস নেই।
প্রয়োজনীয় নির্দেশনা: ওএমআর শিট (উত্তরপত্র)-এর নীচে নির্ধারিত স্থানে নির্দেশনা মোতাবেক একটি বাংলা এবং একটি ইংরেজি বাক্য লিখতে হবে। ইংরেজি ভার্সন এবং A লেভেল/O লেভেলের আবেদনকারীদের প্রশ্নপত্র ইংরেজিতে হবে এবং তাদের পরীক্ষা ইউনিট কর্তৃক নির্ধারিত সময় ও স্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়ার জন্য বিশেষ সাহায্য প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধান বরাবর সাদা কাগজে আবেদন করে সম্মতি নিতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার উত্তরপত্রে (OMR শিট) ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর ও অন্যান্য ঘরে ইংরেজি সংখ্যায় লিখতে হবে এবং সে অনুযায়ী বৃত্ত ভরাট করতে হবে।
আরও পড়ুন : গুচ্ছে মানবিক ইউনিটে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন?
ভর্তির জন্য নির্বাচন পদ্ধতি: লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে নিম্নের (২)-এ বর্ণিত প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মোট সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিট/বিভাগের আসন সংখ্যার সর্বাধিক ১০ (দশ) গুণ শিক্ষার্থীর পৃথক তালিকা মেধা অনুযায়ী প্রণয়ন করা হবে। সি ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগের চূড়ান্ত মেধাক্রম ব্যবহারিক পরীক্ষার পরে প্রকাশ করা হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় ন্যূনতম ৪০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
গ্রেডিং পদ্ধতিতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ১.৫ দ্বারা এবং উচ্চমাধ্যমিক/সমমানের পরীক্ষায় (চতুর্থ বিষয়সহ) প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২.৫ দ্বারা গুণ করে ফলাফল তৈরি করা হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে ০ লেভেল এবং A লেভেল-এর শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ গ্রেডের জন্য ৫, ৪ গ্রেডের জন্য বি, সি গ্রেডের জন্য ৩.৫ এবং D গ্রেডের জন্য ৩ পয়েন্ট গণ্য করা হবে। উল্লিখিত গ্রেডিং/পয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনো গ্রেড/পয়েন্ট থাকলে তা সিএসই’র গ্রেডিং সমতা নির্ধারণী কমিটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ভর্তি পরীক্ষা: আগামী ৩১ জুলাই হতে ১১ আগস্টের মধ্যে প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তীতে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়া পরীক্ষার পূর্বে বিস্তারিত তথ্য ও সিটপ্ল্যান juniv-admission.org ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।