জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে জিপিএ শর্ত শিথিলের দাবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনে জিপিএ শর্ত শিথিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। একই সাথে মানবিক বিভাগের জন্য ভিন্ন নিয়মও পরিহারের দাবি তুলেছেন ভর্তিচ্ছুরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন,  করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর তিনটি বিষয়ের ওপর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। এছাড়া গত বছর এইচএসসিতে অটোপাস দেওয়ায় সেবারও ফলাফল অনেক ভালো হয়েছে। এই অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদনে জিপিএ’র শর্ত বাড়ানোয় কম জিপিএ প্রাপ্তরা ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী মানবিক শাখায় আবেদনের যোগ্যতা রাখা হয়েছে এসএসসিতে ৩ দশমিক ৫ ও এইচএসসিতে ৩। আর ব্যবসায় শিক্ষা শাখা ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য এসএসসি এইচএসসিতে আলাদাভাবে জিপিএ ৩ দশমিক ৫ পেতে হবে। 

মো. শিপন হোসেন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, আমার এসএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ ৩ দশমিক ০৬ এবং এইচএসসিতে প্রাপ্ত জিপিএ ৪ দশমিক ৪২। ফলে আমি ভর্তি আবেদনের সুযোগ পাব না। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করতে না পারায় তার স্নাতকে পড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাবে। কেননা এই জিপিএ দিয়ে তিনি অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদন করতে পারবেন না। এই অবস্থায় জিপিএ শর্ত শিথিলের দাবি তার।

আরও পড়ুন: চবিতে সেকেন্ড টাইম নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হলো

শিমুল হোসেন বিজয় বলেন, জিপিএর শর্ত বাড়ানোয় হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গের পথে। অনেকের স্বপ্ন ছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বে। কিন্তু জিপিএ কন্ডিশনের কারণে অনেকে আবেদন করতে পারবে না। অনেকের এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৮ এর বেশি বা ৭ এর বেশি কিন্তু এসএসসিতে ৩ দশমিক ৫ এর কম। ফলে তারা আবেদন করতে পারবে না। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্নের কথা বিবেচনা করে জিপিএর শর্ত কমানো উচিত। এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদা ভাবে জিপিএ ৩ করলে সবাই আবেদনের সুযোগ পেত।

ইমন আহমেদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি আবেদনের যোগ্যতায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত বছর মানবিকের ক্ষেত্রে এসএসসিতে জিপিএ ২ দশমিক ৫ পেলেই আবেদন করা যেত। এবার এক লাফে সেটি ৩ দশমিক ৫ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্নাতকে পড়ার স্বপ্ন শেষ হতে চলেছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে আবেদনের যোগ্যতা কমানোর দাবি জানাচ্ছি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ডিন (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসির উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মশিউর রহমানের ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।


সর্বশেষ সংবাদ