ফাঁকা আসন পূরণের দাবি
আজ নীলক্ষেতে ফের অবস্থান নেবেন সাত কলেজের ভর্তিচ্ছুরা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২২, ০৮:৩৬ AM , আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২, ০১:০৮ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ফাঁকা আসন পূরণের দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় ফের অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সেখানে অবস্থান করবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ভর্তিচ্ছুদের পক্ষে সাঈফ নেওয়াজ চৌধুরী ও আরাফাত নামে দুই শিক্ষার্থী এই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুই দফা দাবিতে গত ২ মার্চ সাত কলেজের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা নীলক্ষেত অবরোধ কর্মসূচির পর সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল দ্বিতীয় দফা দাবি (অপেক্ষামান থাকা আসনে মেধাতালিকা প্রকাশ ) মেনে নিয়ে নোটিশ প্রকাশ করেছে, এজন্য আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু, এখনও ওই দাবিটির বাস্তবায়ন দেখতে পাইনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যেখনে, আমাদের ১ম দফা দাবি ছিল সাত কলেজে ২৬১৬০টি আসনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ ২৬১৬০টি আসন পূর্ণাঙ্গ করার কোন নোটিশ প্রকাশ করেনি। এ অবস্থায় অবিলম্বে ১ম দফা দাবি নিশ্চিত করে নোটিশ প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায়, সাত কলেজ অপেক্ষামান ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা আবারও কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
জানা যায়, বিষয় মনোনয়নের সময় সাত কলেজের আসন সংখ্যা ২৬ হাজার ১৬০টি বলা হলেও চূড়ান্ত মনোনয়নের পর বলা হয় আসন সংখ্যা ২৩ হাজার ২৬২টি। প্রায় তিন হাজার আসন ফাঁকা থাকার প্রেক্ষিতে এসব আসন পূরণের দাবিতে গত মাসের শেষে শাহবাগে সমাবেশ এবং চলতি মাসের ২ তারিখে নীলক্ষেতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ভর্তিচ্ছুরা।
এদিকে সরকারি সাত কলেজের ভর্তির ওয়েবসাইটে এক নির্দেশনায় বলা হয়, সরকারি সাত কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বিশেষ মনোনয়নের মাধ্যমে বিষয় স্থানান্তর এবং শুন্য আসনে নতুন শিক্ষার্থীদের মনোনয়ন আগামী ২০ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থী জানান, গত ২ মার্চ আন্দোলনের পর ২৩ হাজার আসন থেকে শুন্য হওয়া প্রায় ১৭০০টি আসনের বিপরীতে নতুন শিক্ষার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি, ফাঁকা থাকা তিন হাজার আসন পূরণ করতে হবে। অর্থাৎ মোট ৪ হাজার ৭০০-এর মতো আসন পূরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের কোন সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি।