২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৮:০৩

‘মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাস অপরিবর্তিত থাকবে’

ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। তবে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে সেটি বিবেচনায় নেয়া হতে পারে।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।

এদিকে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজন করা যায় কিনা তা পুনর্বিবেচনা করতে দুই/একদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে খবর প্রচার করা হয়। তবে এই তথ্যের কোনো সত্যতা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু ২৬ মার্চ

সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে কোনো সভা আয়োজন করা হচ্ছে না বলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির ও পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবীব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে নিশ্চিত করেছেন।

তারা জানিয়েছেন, এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সিলেবাসের বিষয়টি মীমাংসিত। পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের আলোকেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। এটিই বহাল থাকবে। শিগগিরই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও জানান এই দুই কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই ভর্তি পরীক্ষা নিতে চেয়েছিল আয়োজক কমিটি

তথ্যমতে, গত ১৭ জানুয়ারি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আয়োজিত এক সভায় পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। পরবর্তিতে কয়েকদফায় বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারীর মধ্যে গত বছরের ২ এপ্রিল সারাদেশে একযোগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেবার ৩৭টি সরকারি মেডিকেলে ৪ হাজার ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ১ লাখ ২২ হাজার ৮৭৪ জন ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন ১ লাখ ১৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার একদিন পর ৪ এপ্রিল ফল প্রকাশ করা হয়। এতে পাস করেন ৪৮ হাজার ৪৮ হাজার ৯৭৫ জন।