দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে পাবিপ্রবিতে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১২ PM , আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২২, ০১:২৮ PM
২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগের দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন ২০২০ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণরা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) তারা এ স্মারকলিপি দেন। ২০২০ ব্যাচের পক্ষে সিহাব, তন্ময় ও জুই নামে তিন ভর্তিচ্ছু এই স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, অক্সফোর্ড থেকে শুরু করে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক বার ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। তবে শোনা যাচ্ছে আগামীতে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দোটানায় আয়োজক কমিটি
শিক্ষার্থীরা বলেন, এইচএসসি-২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের করোনা মহামারীর কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা না নিয়েই অষ্টম ও দশম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটা ফল প্রদান করা হয়। করোনা মহামারী আকার ধারণ করায় দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ও ভর্তি পরীক্ষার সময় নির্ধারণে বৈঠক সোমবার
তারা আরও বলেন, ২০২০ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামে বসবাসরত শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শহরের ছাত্র-ছাত্রীরাও নিজের ঠিকভাবে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি। আবার, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্ধারিত জিপিএ পূর্বের তুলনায় বেড়ে যাওয়ার ফলে অনেক শিক্ষার্থীই পারেনি ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহাল রাখার জন্য শ্রদ্ধেয় উপাচার্য মহোদয়কে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ধারাবাহিক আন্দোলনে ইতোমধ্যে জবি, ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। এছাড়া রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে ও রাজশাহীতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।