১৪ ডিসেম্বর ২০২১, ২০:৫৮

‘শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দেয়া উচিত’

অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত  © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের আগামী বছরের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার সুযোগ দেয়া উচিত বলে মনে করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত।

সম্প্রতি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে পবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, করোনার কারণে ছাত্রছাত্রীরা যেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত না হন সেজন্য দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা রাকা দরকার।

এদিকে করোনার কারণে এবছর ভর্তি পরীক্ষার জন্য নিজেদের সেভাবে প্রস্তুত করতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় অনেকে ডাবল জিপিএ-৫ পেয়েও কোথাও ভর্তির সুযোগ পাননি। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়া হলে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের দ্বার বন্ধ হয়ে যাবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: গুচ্ছে দ্বিতীয়বার পরীক্ষার সুযোগ দিতে চান অধিকাংশ উপাচার্য

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত করোনার কারণে শহরের ছেলে-মেয়েরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিতে পারলেও গ্রামের শিক্ষার্থীরা সে সুযোগ পায়নি। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার আগে বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ ছিল। সেই সুযোগ আগামীবারও থাকা উচিৎ। করোনার কারণে আমাদের কোনো শিক্ষার্থী যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমাদের সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: আয়-ব্যয়ের হিসাব জানাতে অপারগ গুচ্ছ কমিটি

এদিকে আগামী বছরের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. জালাল উদ্দীন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে তিনি বলেন, করোনার কারণে সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ছেলে-মেয়ে ভালো ফল করেও কোথাও ভর্তির সুযোগ পায়নি। আমরা দেখেছি এসএসসি ও এইচএসসিতে ডাবল জিপিএ-৫ পেয়েও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ হয়নি।

আরও পড়ুন: গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাতিলের দাবি ভর্তিচ্ছুদের

তিনি আরও বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে গুচ্ছে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা দরকার। যে ছেলে-মেয়েগুলো এবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে তারা ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় তারা সেভাবে পড়ালেখার সুযোগ পায়নি। তারাও কিন্তু মেধাবী। এই মেধাবীদের বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।