বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়

অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষা, ১০০ নম্বরে পেলেন ১৯৬

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজব কাণ্ড
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে আজব কাণ্ড  © সংগৃহীত

উপাচার্যকে ঘিরে অসন্তোষের মধ্যেই নতুন কাণ্ড বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার অব অ্যাডুকেশন (এমএড) কোর্সে ভর্তির জন্য অনলাইনে প্রবেশিকা পরীক্ষা (ভর্তি পরীক্ষা) নেওয়া হয়েছিল। এই পরীক্ষায় মোট নম্বর ছিল ১০০।

কিন্তু প্রকাশিত মেধাতালিকায় দেখা যায়, এক ছাত্র পেয়েছেন ১৯৬ এবং একজন ছাত্রী পেয়েছেন ১৫১ নম্বর।  বিশ্বভারতীর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এমএডের ফলে এমন কাণ্ডে হতবাক পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সবাই।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিনয় ভবনের এমএড-এর মেধাতালিকা প্রকাশ হতেই চূড়ান্ত বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এই ফল কীভাবে সংশোধন হবে তা নিয়ে দিনভর ছোটাছুটি করতে থাকেন পড়ুয়ারা।

তবে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার অব অ্যাডুকেশন কোর্সে আসন সংখ্যা ৩০টি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়।

এদিকে, মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এই মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। মেধাতালিকায় প্রকাশিত ৪৩ জনের মধ্যে দুজনের প্রাপ্ত নম্বরে এই বিভ্রাট দেখা যায়। সেখানে লেলিন শেখ পেয়েছেন ১৯৬ এবং ঋতিকা রানি পেয়েছেন ১৫১। তবে অন্যদের নম্বরে তেমন গরমিল দেখা যায়নি।  

ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, এই মেধাতালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। শিক্ষার্থীরা এই মেধাতালিকা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন।  

এর আগে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মাস্টার অব অ্যাডুকেশন কোর্সের প্রবেশিকা পরীক্ষার এই নম্বর বিভ্রাটও তারই অংশ কি না, সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন, জালিয়াতি করতে গিয়েই মেধাতালিকা এভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি।


সর্বশেষ সংবাদ