আগের বিজ্ঞপ্তিতে পরীক্ষার দাবিতে জাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ০৫:১৫ PM , আপডেট: ২৭ জুন ২০২১, ০৫:২৩ PM
আগের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের দাবিতে জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামকে স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যের অনুপস্থিতিতে অফিরে কর্মকর্তারা স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেছেন।
আজ রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে শিক্ষার্থীদের একাংশের পক্ষ থেকে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়। এসময় রাজধানী ঢাকাসহ একাধিক জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভোলা সরকারি কলেজের রাসেল মাহমুদ বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর বিজ্ঞপ্তিতে যে পরিবর্তন এনেছে; শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া সম্ভব নয়। তারা এ বছর মোট পয়েন্টসহ সাবজেক্ট প্রতি পয়েন্ট রিকুয়েরমেন্ট বাড়িয়েছে।
এর আগে, গত ১৮ জুন জাবির ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এতে দেখা গেছে, গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ক এ ইউনিটে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ বাদে বাকি বিভাগে আবেদনের যোগ্যতা এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪ ও সর্বমোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। আর কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে মোট জিপিএ-৯.০০ থাকতে হবে।
গতবার কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং মোট জিপিএ ৮.৫০ চাওয়া হয়েছিল। তাছাড়া এই ইউনিটের অন্যান্য বিভাগে মোট জিপিএ ৭.৫০ থেকে ৮.০০ ছিল।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের বি ইউনিট এবং কলা ও মানবিক অনুষদের সি ইউনিটে আবেদন যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫০ ও সর্বমোট জিপিএ ৮.০০ নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবার এ দুটি ইউনিটের বিভিন্ন বিভাগে মোট জিপিএ ৭.০০/৭.২৫/৭.৫০ এবং ৮.০০ ছিল। কিন্তু এবার সেটি বাড়িয়ে গড়ে মোট জিপিএ ৮.০০ করা হয়েছে।
এবার সি-১ ইউনিটের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে আবেদনের জন্য আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.২৫ এবং সর্বমোট ৬.৫০ করা হয়েছে। গতবার ব্যবসায় ও বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৬.৫০ এবং মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জিপিএ ৬.০০ ছিল।
এবার চারুকলা বিভাগের জন্য আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ এবং সর্বমোট জিপিএ ৭.০০ থাকতে হবে। গতবার মোট জিপিএ ছিল ৬.০০।
জীববিজ্ঞান অনুষদ তথা ডি ইউনিটে আবেদনের জন্য এবার আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ-৯ থাকতে হবে। গতবার কিছু বিভাগে মোট জিপিএ ৮.০০ এবং ৮.৫০ ছিল।
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ তথা ই ইউনিটের জন্য এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে জিপিএ ন্যূনতম ৩ দশমিক ৭৫ এবং সর্বমোট ৭ দশমিক ৫০ ও বিজ্ঞান শাখার জন্য আলাদাভাবে জিপিএ-৪ এবং সর্বমোট ৮ থাকতে হবে।
আইন অনুষদ অর্থাৎ এফ-ইউনিটে আবেদনের জন্য ব্যবসায় শিক্ষা/মানবিক শাখায় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪.০০ এবং সর্বমোট ৮.০০ থাকতে হবে। তবে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বমোট জিপিএ-৮ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। গতবার সব শাখায় মোট জিপিএ ৮.০০ ছিল।
আইবিএ ইনস্টিটিউট অর্থাৎ জি-ইউনিটে আবেদনের জন্য জিপিএ আলাদাভাবে ন্যূনতম ৪.০০ এবং সর্বমোট ৮.০০ থাকতে হবে। তবে বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ থাকতে হবে সর্বমোট ৯.০০। গতবার বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ ৮.৫০ এবং বাকীদের মোট জিপিএ ৮.০০ ছিল।
ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বা এইচ-ইউনিটে আবেদনের ক্ষেত্রে এসএসসি ও এইচএসসিতে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ-৯ থাকতে হবে। গবার সেটি ছিল জিপিএ ৮.০০।
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ও তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি তথা আই-ইউনিটের জন্য জিপিএ আলাদাভাবে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫০ করে সর্বমোট ৭ দশমিক ৫০ থাকতে হবে। তবে বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ সর্বমোট ৮ থাকতে হবে। গতবার বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য জিপিএ সর্বমোট ছিল ৭.৫০ এবং মানবিকে ৭.০০ ছিল।
রাসেল মাহমুদ বলেন, বিগত তিন বছর ধরে যারা প্রস্তুতি নিয়ে আসছে তাদের জন্য এটা হতাশার কারণ। এতদিনের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে আজ দেশের উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে তাদের। যদি তারা নোটিশে পরিবর্তন আনতে হয় তবে সেটি এক বছর আগে জানিয়ে দেবে। কিন্তু সেটা না করে পরীক্ষার আবেদনের দুদিন আগে এসে এমন পরিবর্তন শিক্ষার্থীরা আশা করে না।