আগে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে, তারপর ভর্তি পরীক্ষা: জবি উপাচার্য
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা সশরীরে এসে পরীক্ষা দেবে। ছাত্র সংখ্যা ১৫/১৬ লাখ কিংবা গতবারেরসহ আরো বেশি হেবে। এর সঙ্গে অভিভাবকসহ ৩০/৪০ লাখ মানুষের মুভমেন্ট হবে। করোনা সীমিত বা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া যাবে না।’
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘এখনো করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া আগের বছরের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থীদেরও পরীক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় বর্ষে ওঠানো যায়নি। আগে তাদের পরীক্ষা নিতে হবে, দ্বিতীয় বর্ষে ওঠাতে হবে। আর প্রথমবর্ষের পরীক্ষা নিয়েই তো আমরা ক্লাস নিতে পারবো না। এজন্য ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তাড়াহুড়ো নেই। এছাড়া তাদেরকে তাড়াহুড়ো করে ভর্তি করে আমরা যে পড়াতে পারবো, তা না।’
এসময় আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এরপর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের কাছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে আমরা আবার সভা ডাকবো। সেখানে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে আলোচনা হবে। আমরা হয়তোবা তখন একটি সিদ্ধান্ত নেব।’
তিনি বলেন, ‘মেডিকেল, প্রকৌশলসহ আরো অনেক ধরনের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। একটির মধ্যে যাতে আরেকটি পরীক্ষা না পড়ে যায়, সেজন্য আমাদের উপাচার্যদের একটি সভা হবে। সেখানে ভর্তি পরীক্ষা কখন নেওয়া যাবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। সাধারণত মেডিকেল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা আগে অনুষ্ঠিত হয়।’
বিভাগ পরিবর্তনের ইউনিট চেয়ে রিট করছেন ভর্তিচ্ছুরা
বিভাগ পরিবর্তনের ‘ডি’ ইউনিট রাখার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা আগেই এ বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি, কীভাবে পরীক্ষা হবে তাও বলে দিয়েছি। সিদ্ধান্ত আর পরিবর্তন হবে না।’
করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে চলতি মাসের শেষদিকে সভা আহবান করা হবে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
এবার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্বদ্যিালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।