শেষ হলো মাভাবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষা
- মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:০৬ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:০৬ PM
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ও ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার মধ্যদিয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম শেষ হয়।
এরআগে শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) ‘এ’ ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিন বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর একই দিনে ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে মোতায়েন ছিল ম্যাজিস্ট্রেট, বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। পাশাপাশি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সার্বিক নিরাপত্তা ও সহযোগিতায় দায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) মাভাবিপ্রবি শাখার প্রায় ৬০ জন ক্যাডেট শিক্ষার্থী। ক্যাডেট এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ছিলেন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নূরুল ইসলাম।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৯০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রক্টরিয়াল বডির আরও প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ভর্তি পরীক্ষার ১ম দিনে অসদুপায় অবলম্বনের সময় ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করা হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগ মুহূর্তে তল্লাশি করার সময় পৃথক দুই কেন্দ্র থেকে ওই দুই জনকে আটক করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াত চেষ্টায় আটককৃতরা হলেন, টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া এলাকার আক্কাস আলির ছেলে আহসান হাবিব এবং একই এলাকার আরিফ মিয়ার ছেলে আতিকুর রহমান। আহসান হাবিবকে টাঙ্গাইল শহরস্থ মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান কলেজ ও আতিকুর রহমানকে টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়। উভয়ই টাঙ্গাইল সৃষ্টি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও জালিয়াতি চক্রের আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান/ইঞ্জিনিয়ারিং) বিবিএ ও বিফার্ম কোর্সের প্রথম বর্ষের চারটি ইউনিটের ১৬টি বিভাগের ৮১৫টি আসনের জন্য মোট ৬৫ হাজার ৩৫ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল।