বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও টাকার অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত সুজনের
মেধাবী ছাত্র সুজন রবিদাস। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে শত অভাবের মধ্যে কখনো দমে যাননি। অদম্য স্পৃহা নিয়ে লেখাপড়া করে গেছেন। হার না মেনে দীর্ঘ ১২ বছর লেখাপড়া কেরে গেছেন অন্যের সহয়তার হাত ধরে। তবে এখন টাকার অভবে লেখাপড়া থেমে যাওয়ার উপক্রম হয়োছে। সুজন রবিদাস মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভাড়াউরা চা বাগানের চা শ্রমিক নারায়ণ রবিদাসের ছেলে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার তারিখ শেষ হলেও টাকার অভাবে ভর্তি হতে পারেননি সুজন। এবার সর্বশেষ আশা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিন্তু ভর্তি ফির ১৬ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে না পারায় তার ভর্তি এখন অনিশ্চয়তার মাঝে। আগামী ১ ডিসেম্বর ভর্তির শেষদিন। এই দিন ভর্তি না হতে পারলে হয়তো টাকার কাছে আটকে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি।
চরম এক অনিশ্চয়তার সামনে দাঁড়িয়ে সুজন। তিনি বলেন, ‘এত এত মানুষ লেখাপড়া করছে, সরকারসহ বিত্তশালীরা কতজনকে সাহায্য করছে। কিন্তু কয়েক হাজার টাকার জন্য কি থেমে যাবে আমার শিক্ষাজীবন!’
সুজন বলেন, ‘এত কষ্ট করে এই পর্যন্ত এসেছি বাবা-মার মুখে একটু হাসি দেখার জন্য। পরিবারকে স্বচ্ছল করার জন্য।’
সুজনের বাবা নারায়ণ রবিদাস বলেন, ‘আমার পক্ষে তার লেখাপড়ার খরচ চালানো সম্ভব নয়। আমি চা বাগানে কাজ করে দৈনিক ১০২ টাকা আয় করি। আমার স্ত্রী, বড় ছেলে এবং আমার আয় মিলে মাসে পাঁচ হাজার টাকা রোজগার হয়। তার ওপরই চলে ৬ জনের সংসার।’
তিনি বলেন, সুজনকে নোয়াখালী নিয়ে যাওয়া আসা এবং বইপত্র ও ভর্তির টাকাসহ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা দরকার। শুধুমাত্র টাকার অভাবেই আজ বন্ধ হতে চলেছে সুজনের লেখাপড়া। আমার অনুরোধ সরকার বা কোনো বিত্তবান এগিয়ে আসলে তবেই সম্ভব সুজনের লেখাপড়া নিয়মিত করা।