মেডিকেলে ‘উপজাতি’ কোটায় ভর্তি তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩৪ AM , আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৫০ AM
দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ‘উপজাতি’ কোটায় ভর্তি তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজাতি না হয়েও এই তালিকায় সাত বাঙালি শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, তিনটি পার্বত্য জেলাসহ উপজাতিদের জন্য সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তির জন্য ১৭টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। তবে উপজাতি কোটায় ভর্তির জন্য নির্বাচিত ১৭ জনের মধ্যে সাতজন বাঙালি শিক্ষার্থীও রয়েছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে ৭৭ নম্বর কোডে প্রকাশিত তালিকায় বহিরাগত প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে একই ধরনের অভিযোগ উঠলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে একই ধরনের ভুল বার বার হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। এতে করে প্রকৃত উপজাতির শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন না।
উপজাতি কোটায় নির্বাচিত হওয়া বাঙালি শিক্ষার্থীরা হলেন- সাদিয়া আক্তার রাইসা (কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ), সায়মা আলম (সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ), তহুরা তানজিনা নিশাত (শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, কিশোরগঞ্জ), তাসনুবা অস্মিতা কাহন (শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, গোপালগঞ্জ), আরফা জান্নাত সামিয়া (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, টাঙ্গাইল), শাহরিয়ার হাসান শিফান (যশোর মেডিকেল কলেজ), এবং বৈশাখী দে নদী (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর)।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, মেডিকেলে ভর্তি আবেদনের ফর্ম পূরণের সময় অনেকে ভুলবশত আদিবাসী অপশন পূরণ করে ফেলেন। এর ফলে ফলাফল প্রস্তুতের সময় শিক্ষার্থীরা যেভাবে ফর্ম পূরণ করে সেভাবেই ফলও তৈরি করা হয়। কোন শিক্ষার্থী কীভাবে ফর্ম পূরণ করেছে সেটি দেখার সুযোগ থাকে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, উপজাতি না হয়েও সাত শিক্ষার্থীর উপজাতি কোটায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যে মেডিকেলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সেই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত রোববার ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।এতে পাস করেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন। পাস করা শিক্ষার্থীদের ২০ হাজার ৪৫৭ ছেল। আর মেয়েদের সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৬৬।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী ১৯টি কেন্দ্রের ৪৪টি ভেন্যুতে একযোগে চলে পরীক্ষা। এবার সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে ১০৪টি মেডিকেল কলেজের ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের জন্য এবার ১ লাখ ৪ হাজার ৩৭৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেন।