একক ভর্তি পরীক্ষা: অধ্যাদেশের খসড়া মন্ত্রণালয়ে যাবে আগামী সপ্তাহে

ভর্তি পরীক্ষার্থী
ভর্তি পরীক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। আগামী সপ্তাহে অধ্যাদেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সর্বসম্মতিক্রমে এ খসড়া চূড়ান্ত করা করা হয়। 

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক আওতাভুক্ত করে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় ইউজিসি। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি করতে হবে। এজন্য একটি খসড়া অধ্যাদেশ তৈরি করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান দ্যা ডেইল ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা একটি অধ্যাদেশ তৈরি করেছি। অল্প কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এই কাজ আগামী সপ্তাহের ‍শুরুতে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আমরা তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাব। মন্ত্রণালয় থেকে সেটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যাবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হবে।

আরও পড়ুন: ‘রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ হলে একক ভর্তি পরীক্ষায় যাবে ঢাবি’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনে ন্যাশনাল টেস্টিং অথরিটি (এনটিএ) নামে পৃথক একটি কমিশন গঠনের আগ পর্যন্ত এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে যা–ই থাকুক না কেন, এ অধ্যাদেশ প্রাধান্য পাবে।

অধ্যাদেশের খসড়ায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি কার্যক্রমে জটিলতা, দীর্ঘসূত্রিতা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্ভোগ, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং সময়ক্ষেপণ পরিহারের লক্ষ্যে বিদ্যমান ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্নাতক পর্যায়ে ভর্তি প্রক্রিয়ার জটিলতা ও দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার এবং বিদ্যমান ব্যবস্থার সংস্কারপূর্বক সমন্বিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা প্রবর্তনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির অভিপ্রায়ের বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। 

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া বিষয়ে বলা হয়েছে ‘আপাতত বলবৎ কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সংবিধি, বিধি, প্রবিধি, প্রণীত আইন বা আইনের ক্ষমতা সম্পন্ন অন্য কোনো দলিলে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিয়া যোগ্য বিবেচিত না হইলে কোনো ভর্তিচ্ছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তির জন্য উপযুক্ত মর্মে বিবেচিত হইবে না।’

আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত ইউজিসির

ভর্তি কার্যক্রম বিষয়ে বলা হয়েছে ‘কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ফলাফল প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এই ফলাফল, শিক্ষার্থীদের ইতোপূর্বে সম্পাদিত মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমান ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা সমমান পরীক্ষার ফলাফল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শর্তাবলী অনুযায়ী মেধাক্রমের ভিত্তিতে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করিবে।’

এছাড়া, ‘কোন বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে সীমিত পর্যায়ে শুধুমাত্র সঙ্গীত, চারুকলা, নৃত্যকলা, নাট্যকলা, স্থাপত্যবিদ্যা বা এ জাতীয় অতি বিশেষায়িত বিষয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অ্যাপটিটিউড টেস্ট গ্রহণ করিতে পারিবে। ভর্তি প্রক্রিয়া শিক্ষার্থীবান্ধব এবং দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করিবার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষ নীতিমালা অথবা নির্দেশিকা প্রণয়ন করিবে, যাহা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাধ্যকর হইবে।’


সর্বশেষ সংবাদ