একসঙ্গে ঢাবি-জাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন বুয়েটের ফারদিন
পড়াশোনায় মেধাবী বেশ মেধাবী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশ এসএসসি ও এইচএসসিতে সব বিষয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিলেন। গবেষণার বিষয়ে আগ্রহ ছিল তার। কিন্তু অকালেই নিভে গেল এ মেধাবীর জীবনপ্রদীপ।
ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন বলেন, ‘ওর নিজের ইচ্ছায় বুয়েটে ভর্তি হয়েছে। আমরা ওরে স্বাধীনভাবে পড়াশোনা করতে দিয়েছি। যেহেতু আমি সাংবাদিকতায় যুক্ত ছিলাম, তাই খুব একটা সচ্ছল ছিলাম না, ফারদিন নিজে টিউশনি করত। নিজের পড়াশোনা, পড়ানো, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে আসা–যাওয়া ও সামাজিক কর্মকাণ্ড করত।
এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারদিন নুর পরশের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০১৭-১৮) শিক্ষার্থী এ শিক্ষার্থী গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ফারদিন নূর পরশ রাজধানীর ডেমরা থানার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বুয়েটে তাঁর আবাসিক হলের উদ্দেশে বের হন। পরদিন শনিবার সকালে তাঁর পরীক্ষা ছিল। তবে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যায় মিলল বুয়েটছাত্রের লাশ
ফারদিনের বাবা জিডিতে আরও লেখেন, তিনি পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন, ফারদিন তার এক মেয়েবন্ধুর সঙ্গে রিকশায় রামপুরা গিয়ে নেমে যায়। তারপর বাসায় ফেরেনি।
এদিকে, ফারদিন নুর পরশকে কেউ হত্যা করে নদীতে ফেলে দিয়েছে, নাকি তিনি আত্মহত্যা করেছেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় তার একজন ছেলেবন্ধু ও এক বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ফারদিনের বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। চার বছর ধরে তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল।