অপ্রতুল স্যানিটেশন
মাসিককালে স্কুল করতে পারেন না ৪০ ভাগ ছাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:২২ AM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:৫৩ PM
পিরিয়ড বা মাসিককালীন সময়ে মেয়েদেরকে মানসিক ও শারীরিক নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ফলে এ সময় তাদের যথাযথ স্যানিটেশন সুবিধা প্রয়োজন। প্রয়োজন মানসিক সাহয্যেরও। কিন্তু দেশের অধিকাংশ স্কুলেই ছাত্রীদের জন্য নেই মাসিককালীন সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। ফলে প্রতিমাসে দেশের স্কুলগুলোতে শতকরা ৪০ জন ছাত্রী অনুপস্থিত থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্কুলগুলোতে মাসিকবান্ধব টয়লেট, পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সুবিধা নেই বললেই চলে।একই সঙ্গে এর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট এবং সুবিধা নিশ্চিতে সুনিদির্ষ্ট কোনো নিদের্শনাও নেই। যদিও সরকারের ৭ম পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট এবং পযার্প্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ও পরিষ্কারের সুবিধা অন্তভুির্ক্তকরণে গুরুত্বারোপ করা হলেও সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি-২০১৭ প্রণীত দলিলে তা অন্তভুর্ক্ত নেই। এ ছাড়াও ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থাপনা, যার মধ্যে উন্নত সুবিধাসহ সাবান, পানির ব্যবস্থা এবং মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর ছাত্রীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিদের্শনা দিয়েছে। দেশব্যাপী এই নিদের্শনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।
মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এ সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন এমন একাধিক বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, স্কুলগুলোতে মাসিকবান্ধব টয়লেট, পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সুবিধা নেই বললেই চলে। একই সঙ্গে এর জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট এবং সুবিধা নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট কোনো নিদের্শনাও নেই। যদিও সরকারের ৭ম পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০) ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট এবং পযার্প্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন ও পরিষ্কারের সুবিধা অন্তভুির্ক্তকরণে গুরুত্বারোপ করা হলেও সরকারের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) ফাইন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি-২০১৭ প্রণীত দলিলে তা অন্তভুর্ক্ত নেই ।
এ ছাড়াও ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ছাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট ব্যবস্থাপনা, যার মধ্যে উন্নত সুবিধাসহ সাবান, পানির ব্যবস্থা এবং মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার ওপর ছাত্রীদের শিক্ষা দেয়ার জন্য নারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার জন্য সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিদের্শনা দিয়েছে। দেশব্যাপী এই নিদের্শনা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ।
মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার এ সমস্যা নিয়ে কাজ করছেন এমন একাধিক বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ কমর্কতার্রা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টয়লেটের দুবর্ল ব্যবস্থাপনা ও মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ছাত্রীদের উপস্থিতি এবং তাদের শিক্ষাবিষয়ক দক্ষতায় প্রভাব ফেলে। যা এ সব শিক্ষার্থীর মূল্যবোধ গঠনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব এবং দেশের অথৈর্নতিক ও সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে।
২০১৪ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজিন বেজলাইন সার্ভের অনুযায়ী, প্রতি ১৮৭ জন শিক্ষাথীর্র জন্য ১টি টয়লেট আছে। অথচ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ৫০ জনের জন্য একটি টয়লেট থাকার কথা। সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, গ্রামীণ এলাকায় (৪৩ শতাংশ) অধেের্কর কম স্কুলে উন্নত এবং কাযর্করী টয়লেট ছিল। যা ছাত্রীদের জন্য খোলা ছিল। অপরদিকে মাত্র ২৪ শতাংশ স্কুলে টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পাওয়া যায়, যার মধ্যে ৩২ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল।
অপরদিকে শহর এলাকায় ৬৩ শতাংশ স্কুলে উন্নত এবং কাযর্করী টয়লেট আছে যা ছাত্রীদের জন্য খোলা ছিল, ৪৭ শতাংশ স্কুলে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ছিল। নেত্রকোনা জেলায় বেসরকারি সংস্থা ‘ডরপ’ বাস্তবায়িত ঋতু প্রকল্পের (২০১৭) বেজলাইন সাভের্ রিপোটের্ও প্রায় একই ধরনের ফলাফল পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হাইজেন বেজলাইন সাভের্ ২০১৪তে বলা হয়েছে, ৪০ শতাংশ ছাত্রী তাদের মাসিককালীন স্কুলে অনুপস্থিত থাকে। ওই জরিপে মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বিশেষ করে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান না থাকার কারণে স্কুল পযাের্য় সমস্যা প্রকট বলে উল্লেখ করা হয়।
জরিপে দেখা গেছে, বয়ঃসন্ধি বা প্রথম মাসিকের আগে মাত্র ৩৬ শতাংশ ছাত্রী বিষয়টি সম্পর্কের জানতে পারে। ফলে তারা যখন জীবনের এই অধ্যায়ে পা রাখে তখন চরম বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। কী করতে হবে সে জ্ঞান না থাকা এবং স্কুলে ছাত্রীদের জন্য আলাদা টয়লেট না থাকায় তারা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয়।
ঋতু প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সিমাভী) মাহবুবা কুমকুম বলেন, এসডিজির চার নম্বর গোলে স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের বিষয়টি আছে। এ কারণেই সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে পরিপত্র জারি করেছে। কিন্তু এটি নিশ্চিত করতে হলে স্কুল কতৃর্পক্ষ এবং স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সচেতন হতে হবে। নেত্রকোনা জেলায় বাস্তবায়িত প্রকল্পটি একটি দৃষ্টান্ত। স্কুল পর্যায়ে মাসিককালীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে প্রকল্পটি অনুস্মরণীয় হতে পারে।