এক ক্লিকে ৬৮ হাজার গ্রাম, গিনেজ বুকে বাংলাদেশি তরুণ

 তরুণ আলম কিবরিয়া পাশার হাতে গিনেজ বুক পুরস্কার
তরুণ আলম কিবরিয়া পাশার হাতে গিনেজ বুক পুরস্কার  © সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ৫৬৬টি ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট তৈরি করে গিনেস বুকে নাম তুলেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের তরুণ আলম কিবরিয়া পাশা। গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে একটি স্বীকৃতিপত্র কিবরিয়ার হাতে এসে পৌঁছলে কিবরিয়ার চোখে আনন্দঅশ্রু চলে আসে।

তাঁর তৈরিকৃত সাড়ে ৫ হাজারেরও বেশি ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট ‘আমার গ্রাম’কে [www.amargram.xyz] বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্যাটাগরির ওয়েবসাইটের স্বীকৃতি দিয়েছে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ। দেশের ৬৮ হাজার গ্রামের তথ্য এক ঠিকানায় নিয়ে আসতেই এই ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন তিনি।

তরুণ এই আইটি স্পেশালিস্ট কিবরিয়া পাশার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের গাজিরকান্দি গ্রামে। তার বাবা ইরন মোল্লা (হিরন) একজন কৃষক ও মা খাদিজা বেগম গৃহিণী। সাত ভাই-বোনের মধ্যে কিবরিয়া পাশা ষষ্ঠ। তিনি বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে দর্শন বিভাগে অনার্সে অধয়নরত।

এ রিষয়ে কিবরিয়া পাশা বলেন, সাইটটিতে ঢুকলেই বাংলাদেশের ৬৪ জেলার মানচিত্র সহজেই দেখা যাবে। মানচিত্র অনুযায়ী যেকোনো জেলায় ক্লিক করলেই ওই জেলার সকল উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি চলে আসবে। আপাতত আমি ৬৮ হাজার গ্রামের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। কিন্তু গ্রামের তথ্যগুলো এখনও হালনাগাদের কাজ চলছে। যে কেউ চাইলে সাইটে গিয়ে তার নিজ গ্রামের তথ্যগুলো হালনাগাদও করতে পারবে।

তিনি বলেন, সাইটে এমন ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। কোচিংয়ের ফাঁকে কয়েক মাস একটি আইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়েব ডেভেলপিংয়ের কাজ শিখেন কিবরিয়া। তথ্যপ্রযুক্তির প্রতি আকর্ষণ থেকেই নিজ নাম গিনেস বুকে তোলার ইচ্ছা জাগে তার। তাই করোনাভাইরাস মহামারিকালে ঘরে শুয়ে-বসে সময় নষ্ট না করে ‘আমার গ্রাম’ ওয়েবসাইট তৈরির কাজে হাত দেন। পরিকল্পনা ছিল, বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের নামসহ প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন নাম্বার এক ঠিকানায় নিয়ে আসা।

তিনি আরো বলেন, ওয়েবসাইটের ডোমেইন কিনে নিজেই ডিজাইন ও ডেভেলপিংয়ের কাজ করেছি। পরিবারের কেউ জানত না আমি সারাদিন ঘরে বসে কী কাজ করছি বা কী তৈরি করছি। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও সরকারি ওয়েবসাইট এবং গুগল ও উকিপিডিয়া থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে হয়েছে।

এর আগে সেফটি পিন দিয়ে বিশ্বের দীর্ঘতম চেইন বানিয়ে গিনেজ বুকে নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের প্রয়াত জগদীশ চন্দ্র দেবের ছেলে পার্থ চন্দ্র দেব। দুই হাজার ৪০১ দশমিক ৮৩ মিটার বা সাত হাজার ৮৮০ ফুট শূন্য দশমিক ২ ইঞ্চি আয়তনের চেইনটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চেইন হিসেবে স্বীকৃতি দেয় গিনেজ বুক কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ