১৯ বছর বয়সে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সফল তিতুমীর কলেজের তুহিন
করোনাভাইরাসের ফলে দেশে বর্তমানে একটি কঠিন সময় চলছে। এই মুহূর্তে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই জরুরি। সুষ্ঠু ব্যবহার জানলে আর সেটার বাস্তবায়ন করতে পারলে এক্ষেত্রেও অভূতপূর্ব সাফল্যলাভ সম্ভব। ১৯ বছর বয়সী মাইনুল ইসলাম তুহিন রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এর মধ্যেই ডিজিটাল মার্কেটিং দুনিয়ায় রেখেছেন সাফল্যের পদধূলি।
তুহিন একাধারে ইনফ্লুয়েন্সার, উদ্যোক্তা এবং ব্লগার। ‘TuhinTube’ নামে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তিনি। মূলত ফেসবুকের জন্য কন্টেন্ট তৈরির কাজ করছে তার এই প্রতিষ্ঠানটি। বিভিন্ন ধরনের এজেন্সির হয়ে কনটেন্ট প্রজেকশন এবং ডিস্ট্রিবিউশনের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ করেন তিনি।
তরুণ এই উদ্যোক্তা মনে করেন, ‘বর্তমান যুগে ডিজিটাল মার্কেটিং বিশাল একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র’।
মাইনুল ইসলাম তুহিন বলেন, ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে তার দক্ষতা বাড়াতে হবে। কারণ সঠিক জ্ঞান নিয়ে এই সফলতার দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু অজ্ঞতা নিয়ে বারবার শুধু অসফলতার দিকেই আসতে হয়। এর জন্য সবার প্রথমে দক্ষতা বাড়াতে হবে।
তুহিন বলেন, এরপর অনুসন্ধান করতে হবে প্রতিনিয়ত চোখ-কান খোলা রেখে। পাশাপাশি জানতে হবে বিভিন্ন টুলসের ব্যবহার। কি ধরনের কনটেন্ট পছন্দ করছে লাখো মানুষ সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কনটেন্ট তৈরি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে তিনি বিশ্বাস করেন সফলতার কোন শর্টকাট পথ নেই। মানুষ নিজের সততা, একাগ্রতা, কাজ এবং পরিশ্রম দিয়ে সফল হয়ে উঠে। যেখানে মানুষের কাজের কোনো সত্যতা নেই সেখানে কাজের প্রকৃত সম্মান পাওয়া যায় না। প্রকৃত সফলতা পাওয়া যায় না। তাই প্রতিটি মানুষের সততা ঠিক রেখে কাজ করা উচিত।
তিতুমীর কলেজছাত্র তুহিন গুগল এডসেন্স, ফেসবুক-ইউটিউবে ভিডিও কনটেন্ট আপলোড, ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল, ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে থাকেন। এর মাধ্যমে তিনি দৈনিক ২০০ ডলারের উপরে সার্ভিস দিয়ে থাকেন। এর বাইরে শুধুমাত্র ফেসবুকে ভিডিও কনটেন্টে আপলোড করে প্রতিমাসে ৩০০ ডলার আয় করেন তুহিন।
তুহিনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, এগিয়ে যেতে হবে বহুদূর। আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন সকলেরই একটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা রয়েছে। আমি সে অনুযায়ী কাজ করছি।