তিন বছর আগেই বিয়ে হয়েছে ফারহানার, আছে সন্তানও
বাইক র্যালি করে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল যশোরের মেয়ে ফারহানা আফরোজ। তাকে ‘নববধূ’ বলা হচ্ছে। কিন্তু তার বিয়ে হয়েছে তিন বছর আগে। কোলজুড়ে এসেছে এক সন্তানও। গত ১৪ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করায় এই বিভ্রান্তি দেখা দেয়।
ফারহানা নিজেও পরিষ্কার করে কিছু না বলায় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। অনুষ্ঠানের বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকাতে দেখেছি, অনেক বিয়েতে মোটরসাইকেল চালিয়ে গায়ে হলুদ করেন। আমিও বাইক চালাতে পারি। তাই ইচ্ছা পূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে হইচই-আনন্দ করেছি।’
কিন্তু বাস্তবে তিনি নববধূ নন বলে জানিয়েছেন ফারাহানার ঘনিষ্ঠজনরা। তার বান্ধবী নওরীন মোক্তাকি জয়া বলেন, ‘উচ্চশিক্ষা গ্রহণে দু’জন দুই শহরের বাসিন্দা হলেও বন্ধুত্ব ছিল অটুট। ফারহানা ভালো মনের মানুষ। যেহেতু ও বাইক চালাতে পারে তাই ওর শখ ছিল বাইক রাইডিং করার। নেটিজেনরা বানোয়াট কথা বলে বিরূপ মন্তব্য করছে।’
তিনি বলেন, ‘ওর তিন বছর আগে বিয়ে হয়। এক বাচ্চার মা, ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের সময় অনুষ্ঠান করতে পারেনি। এখন বিয়ের অনুষ্ঠান করে সে তার শখ পূরণ করেছে।’
ফারহানার বন্ধু ফটোগ্রাফার তরু খান বলেন, ‘ফারহানা আমাদের সাথেও বাইক চালাতো। ও ভালো বন্ধু, স্বাধীনচেতা মেয়ে। তার গায়ে হলুদে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে শহর ঘরেছি। লোকজন নেগিটিভ মন্তব্য করছে, খারাপ লাগছে।’
ফারহানার প্রতিবেশী তমাল আহমেদ বলেন, ‘ফারহানা ভালো মেয়ে। বিয়ে অনেক আগে হলেও পারিবারিকভাবে মেনে নেয়ার বিষয়ে জটিলতা ছিল। মেনে নেয়ার পর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।যশোরের মেয়ে তানিয়া পাইলট। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকারও নারী। ফারহানার ব্যাপারে সবাই এতো কনজারভেটিভ কেন বুঝি না।’
ফারহানা আফরোজের বাড়ি যশোর শহরে। গত ১৩ আগস্ট নিজের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে এভাবে পোজ দিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজনটি করেন। আর তার স্বামী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার রাফি গাজীপুরে কর্মরত।
২০১১ সালে যশোর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। পরে ২০১৩ সালে আব্দুর রাজ্জাক কলেজ থেকে পাস করেন এইচএসসি। এখন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে এইচআর-এ এমবিএ পড়াশোনা করছেন।