অনার্স পাসের আগেই বিসিএস আবেদন, হলেন এএসপি
৩৮তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন ফয়সাল তানভীর। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে অনার্স পরীক্ষা দিয়েছেন তিনি। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই তিনি ৩৮তম বিসিএসে প্রথমবারের মত অংশ নেন। আর অনার্সের অ্যাপিয়ার্ড সার্টিফিকেট দিয়েই তিনি প্রথম ভাইভা দিয়েছিলেন। নিজের প্রথম পছন্দের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তও হয়ে গেলেন।
ফয়সাল তানভীর নাটোর গভর্নমেন্ট বয়েজ হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে। পরে তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে।
নিজের সফলতা নিয়ে ফয়সাল তানভীর বলে, “ভবিষ্যত অপার সম্ভাবনাময়, সেই সাথে রয়েছে শঙ্কাও। গতকাল ৩৮তম বিসিএসের ফলাফল আসলো। যা চেয়েছিলাম তার থেকেও অনেক গুণ বেশি পেয়েছি। কোটাযুক্ত এ বিসিএস থেকে চেয়েছিলাম যেকোন একটি জেনারেল ক্যাডার। তারপরও পেলাম নিজের প্রথম পছন্দের এবং সাথে মেরিটলিস্টে দশম স্থান। প্রিয়জনদের মুখে হাসি ফোটাতে পারা, সেই সাথে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়জিত করার সুযোগ। সত্যি এর চেয়ে একবিন্দু বেশিও চাই না আমি।”
আর কোন চাকরির পরীক্ষায় অংশ নেবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, “আরো বেশ কয়েকটি জব অপশন হাতে ছিল, তবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখানেই থেমে যাবার। Anti Corruption Commission এর Assistant Director এবং Govt High School এর ভাইভা বাকি ছিল, ৪০তম রিটেনও দিয়েছিলাম এবং ৪১তম বিসিএসে আবেদনও করেছিলাম। কিন্তু সেগুলোর কোনটাতেই আর অ্যাপিয়ার করব না বলে ঠিক করেছি।”
“আশা রাখি ভবিষ্যত প্রজন্মের কান্ডারীরা নিজেদের মেধা এবং যোগ্যতা দ্বারা উক্ত পোস্টগুলো পূরণ করে নেবে এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে প্রিয় মাতৃভূমির সেবা করে যাবে। আর আমার জন্য দোয়া করবেন, যেনো সফলতার সাথে পুলিশ ভেরিফিকেশন টা শেষ করে সারদায় পৌছাতে পারি।”- যোগ করেন তানভীর।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেন, আমি খুবই ভাগ্যবান। ধন্যবাদ সবাইকে যারা পাশে ছিল এ বন্ধুর পথে। আমার ভালোবাসার ছোঁয়ামনি, আমার সবসময়ের সাহস আমার বড়আপু, এবং অবশ্য অবশ্যই আমার বাবা মা। বন্ধু-ভাইদের কথা উল্লেখ করতে গেলে কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে। তাই আর লিখলাম না তাদের নাম। আমি জানি তারা ঠিকই বুঝে নিবে আমি কার কার কথা বলতে চাচ্ছি।