চাকরির চাপ কমাতে প্ল্যান এবিসি করে রাখুন
ইদানিং দেখতে পাচ্ছি ভার্সিটি পড়ুয়া অনেক স্টুডেন্টই ভার্সিটির শুরু থেকেই চাকরি নিয়ে অনেক বেশিই সিরিয়াস, বিশেষ করে বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে। অনেকর ইনবক্স পাচ্ছি তারা চাকরি ও বিসিএস নিয়ে ভাবতে গিয়ে একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ করে ফেলেছে এবং এখন কি করবে ভেবে পাচ্ছে না। এতো আগে থেকে মূল পড়াশোনা বাদ দিয়ে এসব নিয়ে ভাবলে তো একাডেমিক রেজাল্ট খারাপ হবেই।
তোমরা জীবনে ভালো কিছু করার জন্য ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছো, এই ভালো মানে অনেক কিছুই হতে পারে যেমন গবেষক, শিক্ষক, চাকরিজীবী যেকোনো কিছু। ভার্সিটি তো আর শুধু চাকরির কোচিং সেন্টার না ? একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, জীবনে তারাই ভালো কিছু করে যারা সময়ের কাজ সময়মত করে। প্রতিটি কাজের একটা উপযুক্ত সময় আছে, তোমরা যারা ভার্সিটি লাইফে আছো তাদের চেষ্টা করা উচিত অনার্সে ভালো রেজাল্টের চেষ্টা করা, অনার্সের শেষের দিকে এসে টুকটাক চাকরির প্রস্তুতি নেয়া শুরু করতে পারো।
এইচএসসি পাশের পর থেকে যদি কারো মাথায় চাকরির চিন্তা ঘুরপাক খায় তাহলে তো তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হবেই। নিজের পেশন আর ভালোলাগা যেন অন্যকে অন্ধভাবে অনুকরণ করতে গিয়ে ধূলিসাৎ না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত। ভার্সিটি লাইফটা উপভোগ করা উচিত এবং ভার্সিটিতে নিজের বিষয়ে ভালো রেজাল্টের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত। সময়ের কাজ সময়ে করতে না পারলে প্রকৃত কাজ পণ্ড হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
একই সাথে দুই নৌকায় পা দিলে দুটো কাজই পণ্ড হবার সম্ভাবনা থাকবে। ক্যারিয়ার প্ল্যানিংয়ে সবসময়ই বিকল্প ১-২ টা প্ল্যান করে রাখা উচিত, যেমন প্রথমে একটা টার্গেট নিয়ে ছুটবেন, সেটা নাহলে কি করবেন এবং সেটাও না হলে কি করবেন এসব আগে থেকেই ভেবে রাখবেন, তাহলে চাপ কম পড়বে নিজের ওপর। প্ল্যান এ, বি, সি এভাবে ৩-৪ টা প্ল্যান করে রাখুন। তাহলে সহজে কখনো হতাশা আসবে না। কারণ আপনার আগেই ঠিক করা আছে এটা নাহলে কি করবেন।
কোন কিছু লক্ষ্য নিয়ে ছুটলে নিজের বেস্টটা দেয়ার চেষ্টা করবেন। পরিশ্রম করলে এমনভাবে করবেন যেন সফল হওয়া যায়, নাহলে ওই আধা আধা পরিশ্রম করে খুব একটা ভালো রেজাল্ট আসে না। আর একটুতেই অন্যের দিকে তাকানো, বিভিন্ন গুঁজবে কান দেয়া এসব পরিহার করতে পারলে অনেক উপকার হবে। যে অল্পে হতাশ না হয়ে, চাপে না ভেঙে পড়ে চেষ্টা চালিয়ে যায় সে সফল হয়ই। ভালো থাকবেন সবাই।
লেখক: সহকারি কর কমিশনার